দেবাঞ্জন কাণ্ডে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল। ঘটনায় তাঁকে বলির পাঁঠা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের উত্তর কলকাতা জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, তাঁকে ফাঁসিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী তথা বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী গোটা ঘটনায় ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
অশোকবাবুর দাবি, দেবাঞ্জনকে চিনতেনও না তিনি। ওদিকে তাঁরই বিরুদ্ধে দেবাঞ্জনের সংস্থার মাস্ক-স্যানিটাইজার মজুত রাখার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তিনি দেবাঞ্জনের সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন বলে মিথ্যা অভিযোগ করছেন কেউ কেউ।
তাঁর দাবি, দেবাঞ্জনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিদায়ী কাউন্সিলর ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এলাকার অনেককে টাকার বদলে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। ওদিকে সুদীপ – নয়না তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।
অশোকবাবু বলেন, ‘অবিলম্বে এই দুর্নীতির সিআইডি তদন্ত হোক। নইলে মানহানির অভিযোগে আমি দরকারে সুপ্রিম কোর্টে যাবো।’ ওদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘টাকা কে নিয়েছে তা সবাই জানে। দেবাঞ্জনের সংস্থায় পরীক্ষা দিতে কে পাঠিয়েছে তাও সবাই জানে। দলের বাইরে এর থেকে বেশি কোনও মন্তব্য করবো না।’