খাস কলকাতার চক্রবেড়িয়ায় প্রকাশ্যে মদ্যপানের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গেল। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–সহ কয়েকজন প্রতিবাদীকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। প্রায়ই এখানে এই মদ্যপান করার পাশাপাশি হই–হট্টগোল হত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পুলিশকে জানিয়েও নাকি কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং এলাকার কয়েকজন মানুষ। কিন্তু এই প্রতিবাদের ফলস্বরূপ মিলেছে স্থানীয়দের একাংশের নিগ্রহ।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মার খাওয়ার পর পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা মদ্যপদের বিরুদ্ধে এলাকায় তাণ্ডব চালানো, গাড়ি ভাঙচুর পর্যন্ত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় লাঠিচার্জ করে সামাল দেয় পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বালিগঞ্জ থানার ওসি। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। এই মদ্যপরা কারা, তা এখনও পুলিশ প্রকাশ্যে আসেনি। পুলিশকে আগে এই বিষয়ে খবর দেওয়া হলেও কেন তারা পদক্ষেপ করেননি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে চক্রবেড়িয়ায় পুলিশকর্মীর উপস্থিতিতেই মদ্যপানের আসর বসে। তারস্বরে বাজানো হচ্ছিল সাউন্ড বক্স। সঙ্গে চলছিল ব্যাপক হইহল্লা। যার প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং এলাকাবাসীর বেশ কয়েকজন। তখনই পালটা চড়াও হয় মদ্যপরা। তাদের সঙ্গে হাত মেলায় ওই পুলিশকর্মীও। আর তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতাও দলবল নিয়ে পালটা আক্রমণ করলে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, এই মদ্যপদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়, তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি–সহ কয়েকজন প্রতিবাদীকে মারধর করা হয়। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে এলাকায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে।