১৭ দিন হাসপাতালবন্দি থাকার পর মুক্তি পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার তাঁকে SSKM হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। বাড়ি গেলেও অনুব্রতকে সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী থাকতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যার ফলে সিবিআই হাজিরা এড়ানোর পর্যাপ্ত হাতিয়ার রইল তাঁর কাছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, অনুব্রতর হৃদযন্ত্রের প্রবাহে বাধা রয়েছে। ২টি ধমনীতে যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ শতাংশ করে বাধা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কীভাবে তাঁর হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যোদ্ধার করা যায় তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। তবে ততদিন গৃহবন্দি থাকতে হবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিতে। সূত্রের খবর, ১ মাস পর অনুব্রতকে ফের পরীক্ষা করাতে আসতে হবে হাসপাতালে।
গত ৬ এপ্রিল সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বেরিয়ে SSKM হাসপাতালে ভর্তি হন অনুব্রত। তাঁর শরীরে একাধিক উপসর্গ রয়েছে বলে জানান SSKM-এর বিশেষজ্ঞরা। এর পর দীর্ঘ ১৭ দিন উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত বুধবার পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য তাঁকে SSKM-এ অ্যানেক্স ৪ রামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিরোধীদের দাবি, অনুব্রতর অসুস্থতা আসলে সিবিআইকে এড়ানোর অছিলা। এইভাবে গোরু ও কয়লাপাচার কাণ্ডের জেরা থেকে বাঁচতে চাইছেন তিনি। এবার শয্যাশারী থাকার অছিলায় জেরা এড়াবেন অনুব্রত। এবার সিবিআই তাঁকে বাগে পেতে কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, চিকিৎসক শয্যাশায়ী থাকতে নির্দেশ দেওয়ায় আপাতত সিবিআইকে অনুব্রত এড়াতে পারবেন ঠিকই। কিন্তু দীর্ঘদিন এভাবে চললে রাজনৈতিকভাবে জেলা ও রাজ্যের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন তিনি।