হঠাৎ রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অর্পিতা ঘোষ। এই খবর অবশ্য সবাই জানেন। কিন্তু কেন তিনি হঠাৎ সরলেন তা অনেকেরই অজানা। সূত্রের খবর, তাঁকে এবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে সাংগঠনিক কাজে লাগানো হবে। সেখানে একুশের নির্বাচনে ঝড়ের গতিতে আসন আসেনি। যা অন্যান্য জেলা থেকে এসেছে। আবার উত্তরবঙ্গকে বিজেপি এখন নানা কাজে লাগাতে চাইছে। সেখানে অর্পিতা ঘোষ রাফ অ্যান্ড টাফ নেত্রী। তাই তিনিই হবেন উপযুক্ত সাংগঠনিক কারিগর।
তবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সাংগঠনিক কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন। বুধবারই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে পদত্যাগপত্রও দিয়েছেন। ২০২৬ পর্যন্ত সাংসদ পদের মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও এই ইস্তফা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এবার চিঠি প্রকাশ্যে আসায় সেই জল্পনার অবসান হল।
ঠিক কী লিখেছেন চিঠিতে? তিনি লিখেছেন, ‘কীভাবে দলের কাজ করব, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট জয়ের পর এই বিষয়টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করেছি। আমাকে যদি বাংলায় দলের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সাংসদ পদে না থেকে সেই কাজ করতে আমি বেশি আগ্রহী। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই আমি। আমার মনে হয়, রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় কাজ করতে পারলেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে জিতেছিলেন অর্পিতা। ২০১৯ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর খালি পদে কি হবে? সেখানে নতুন করে নির্বাচন হবে বলেই খবর। আর সেখানে দুটি নাম ভেসে আসছে। যদিও এই নিয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি নন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। তবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে চিঠির শুরুতেই অর্পিতা লেখেন, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে অনেক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। উপভোগও করেছি। লোকসভার সাংসদ থেকে শুরু করে জেলা সভাপতি, রাজ্যসভার সাংসদ— দল আমাকে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। তার জন্য দলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’