শুধু বাংলার উপনির্বাচন নয়, দেশজুড়ে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। রাজস্থান, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা নগর হাভেলি এবং হিমাচল প্রদেশে জোর ধাক্কা খেয়েছে নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহের দল। তাই এবার উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে অতীতের দলকে বিঁধলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি এককথায় জানান, যা পাওয়ার কথা ছিল তাই পেয়েছে বিজেপি।
এই ফলাফলে অশনি সংকেত দেখছে বিজেপিও। তাই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে চলেছে বিজেপি। এই ফলাফলের পর অনেকেই বলছেন, মমতা ৪–মোদী ০। এবার সেই সুর বাবুল সুপ্রিয়র গলাতেও। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘উপনির্বাচনে দারুণ জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিনন্দন। যা প্রাপ্য সেটাই পেয়েছে বিজেপি। দেখব দলের অনুগত কর্মীদের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার, পিছন থেকে ছুরি মারা জনতা বিরোধী দলের অযোগ্য নেতারা ২০২৪ সালে কত আসন জিততে পারে।’
এখন মুখরক্ষা করেছে শুধুমাত্র অসম। এখন যা পরিস্থিতি তাতে পদ্মফুল শুকিয়ে পাপড়ি ঝড়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই বাবুল সুপ্রিয় টুইটে লিখেছেন, ‘যে বিজেপি নিজের নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, হেনস্থা, পিছন থেকে ছুরি মারছে তারা ভারতের নাগরিকদের জন্য কতটা ভালো করতে পারে। দলের জন্য ঘাম ও রক্ত দিয়েছে কর্মীরা। দেখে নিন বিজেপির কতজন প্রবীণ নেতা এখন দলের তীব্র বিরোধী।’
এখন বিজেপির রাজ্য দফতরে যখন অন্ধকার নেমে এসেছে তখন বাবুল সুপ্রিয়র এই টুইট কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়ার মতো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। মন্ত্রিসভা থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই তিনি নানা টুইট করেছেন। এখন তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে, সেখানে আরও করবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে উপনির্বাচনের ডার্বি ম্যাচের ফলাফল ৪–০ হওয়ায় বাবুল সুপ্রিয়র চ্যালেঞ্জ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।