সম্প্রতি তিনি সিঙ্গল ফুল থেকে জোড়া ফুলে এসেছেন। তা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছিল। তবে তিনি সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন। হ্যাঁ, তিনি বাবুল সুপ্রিয়। নয়াদিল্লি থেকে ফিরে বুধবার হাওড়া স্টেশনে তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্যে কাজ করাটাই আসল ব্যাপার। সেখানে আমার যেটা মনে হয়েছে আমি সেটাই করেছি। মমতা দিদির নেতৃত্বে কাজ করতে পেরে ভালোই লাগছে।’
এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয় এতদিনের সম্পর্ক শেষ করে নতুন ইনিংস শুরু কারণটা কী? জবাবে বাবুল সুপ্রিয় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমার সাত বছরে নয়াদিল্লি সফরে মনে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বাংলা থেকে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের উপর ভরসা করতে পারছেন না। তাই ক্যাবিনেট মন্ত্রী তো ছেড়েই দিলাম, একক দায়িত্ব পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। এখানে আমি শুধু আমার কথা বলছি না। এসএস আলুওয়ালিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেস থেকে তিনি এসেছেন। প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তাঁকেও কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’
এই পরিস্থিতি কেন তৈরি হচ্ছে বলে আপনার মনে হয়? এখানেও বাবুল সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, ‘বাংলা থেকে যাঁরা বিজেপিতে গিয়ে জিতেছিলেন তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে কোথাও সামঞ্জস্য হচ্ছে না। এটাও আমার উপলব্ধি। প্রধানমন্ত্রী বাঙালিদের ওপরে ভরসা করছেন না। তাই যেখানে মানুষের জন্য কাজ করা যাবে সেখানে এসেছি।’
রাত পোহালেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। এই বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত। ভবানীপুরে কাউকে প্রচার করতে লাগে না। যেখানে দিদি দাঁড়িয়েছেন সেখানে জয় তো আসবেই। তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় তিনবার পরপর জিতে হ্যাট্রিক করেছে। সেখানে নিজের কেন্দ্র থেকে মমতা দিদি জিতবে এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই হবে।’