একদিকে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বাংলা দখলের জন্য প্রাণপাত করছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলা ভাষায় পাশ বাধ্যতামূলক বলে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। সিভিল সার্ভিসের চাকরি করতে গেলে বাংলা ভাষার লিখিত পরীক্ষায় পাশ করতেই হবে। এই নতুন নিয়ম বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। যার বিরোধিতায় কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক গণআন্দোলন এবং আদালতে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। এই আবহে তাঁকে উদ্দেশ্য করে কড়া ফেসবুক পোস্ট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য।
এই ফেসবুক পোস্টে একদিকে রয়েছে আক্রমণ অন্যদিকে রয়েছে খোঁচা। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ এখানে শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দেওয়া হয়নি। বরং নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকেও খোঁচা দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে হিন্দি এবং অন্যান্য ভাষাভাষীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাই এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নেমে গণআন্দোলন করা এবং আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও শুভেন্দুর মন্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ এবং বাংলায় ভাষাবিদ্বেষের বিষ ছড়ানোর অপচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? ভাষা সংখ্যালঘু সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বলেন, ‘পুরনো ব্যবস্থা বদলের কোনও দরকার নেই। বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে আমরা জোরালভাবে ইস্যুটি তুলব। এই সিদ্ধান্তে হিন্দি এবং অন্যান্য ভাষাভাষীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ যদিও আজ, বুধবার কড়া ভাষায় টুইট করেছেন দেবাংশু। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কথায় যে কিছু যায় আসে না বাংলার মানুষের সে কথা তুলে ধরেছেন। যদিও এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিরোধী দলনেতা।
ঠিক কী লিখেছেন দেবাংশু? আজ বুধবার একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি লেখেন, ‘বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হলে তো জ্বালা হবেই! রাজনৈতিক বাবাই যদি বাংলা ভাষা না জানেন, না বোঝেন, যদি ‘চোলাই চোলাই’ জয়ের ভেরি বাজান, তাহলে সেই পশ্চিমী বাবার নতুন দত্তক নেওয়া রাজনৈতিক পুত্রের তো রাগ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়! কিন্তু বাঙালির তাতে বয়েই গেল!’ অর্থাৎ বিজেপি যে হিন্দিভাষী দল সেটা এই পোস্টে স্পষ্ট করে দিয়েছেন দেবাংশু। আর খোঁচা দিয়েছেন মোদী–শুভেন্দুকে। তবে নাম না করে।