বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন ফুলবদলের হিড়িক দেখা দিয়েছিল তৃণমূল নেতাদের মধ্যে, সেই সময় মমতা বন্দনায় বিভোর ছিলেন তৃণমূলের তরুন নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। দাবি করেছিলেন, নির্বাচনের পর এই দলবদলু নেতারা যদি তৃণমূলে ফিরতে চান, তাহলে তিনি বাধা হয়ে দাঁড়াবেন। বলেছিলেন, 'গদ্দারেরা ফিরলে আমি তৃণমূল ভবনের সামনে শুয়ে থাকব।' এই আবহে বর্তমানে যখন বিজেপি ছেড়ে একে একে মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা তৃণমূলে ফিরলেন, তখন কটাক্ষ সহ্য করতে হয়েছে দেবাংশুকে। প্রশ্ন, কোথায় আর দরজা আটকে শুয়ে থাকলেন দেবাংশু? এবার সেই দরজা আটকে থাকা মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন দেবাংশু।
এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে এই নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দেবাংশু লিখলেন, 'গদ্দারেরা ফিরলে আমি তৃণমূল ভবনের সামনে শুয়ে থাকব বলেছিলাম। আবেগে বলেছিলাম। সেই সময় দাঁড়িয়ে কর্মীদের উৎসাহ দেখে বলাটা প্রয়োজন ছিল, এবং বিশ্বাস থেকেই বলেছিলাম। কারণ তখন যন্ত্রনাটা কাঁচা ছিল। ঠিক যেমন "গলি গলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়" বলাটাও সিপিএমের সেই সময় প্রয়োজন ছিল, তার পরেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে হয়েছিল পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে।'
দেবাংশু আরও লেখেন, 'তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে দল আজ ফেরত নিচ্ছে। দলের নিজস্ব ক্যালকুলেশন আছে, এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেই ক্যালকুলেশন বিজেপিকে সমূলে বিনাশ করার। একজন পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসাবে এই মুহূর্তে আমার একমাত্র লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে সমূলে উৎপাটন করা। তার জন্য রাজনৈতিক ভাবে যা যা করার দরকার করতে হবে।'
এদিকে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষকে তোপ দাগতেও ছাড়েননি দেবাংশু। দেবাংশুর কথায়, 'আমি তো তৃণমূল ভবনের সামনে শুয়ে পড়ছি, উঠে পড়ছি.. আমাদের দলের অফিস আমাদের মন্দির। আবেগ, অভিমান, কষ্ট, ব্যথা, ভালোবাসা সবটাই দলের মধ্যে। কিন্তু বঙ্গ সিপিএমের আমাকে ছাড়া চলে না। ভগবান বাই চান্স আমাকে মিসকল মেরে তাড়াতাড়ি ডেকে নিলে কোনও রকমে শিবরাত্রির সলতের মত ফেসবুকে বেঁচে থাকা সিপিএমটাও উঠে যাবে! তাদের কচি লেনিন, চৌবাচ্চা স্তালিনরা কর্মহারা হবে।তৃণমূল কংগ্রেস ভবন কসবা বিধানসভায় অবস্থিত। সেখানে একজন কচি লেনিন সেই যে ১৫ বছর ধরে শুয়ে আছে, আর উঠতেই পারছে না! কেউ তার গায়ে ইটালিয়ান তেল ঢালুন প্লিজ, একটু উঠে দাঁড়াক...'