দলে ফিরলেও তিনি যে পদ ফেরত পাবেন না তা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। এবার দলীয় সভার আমন্ত্রণপত্রেও উধাও তাঁর নাম। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে মহিলা তৃণমূলের সম্মেলনে ডাক পেলেন না তিনি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চতর নেতৃত্বের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত। বিষয়টি নিয়ে যদিও সংযত মন্তব্য করেছেন জিতেন্দ্রবাবু।
আগামী ২ জানুয়ারি পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া গেস্ট হাউজে পশ্চিম বর্ধমান মহিলা তৃণমূলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই বৈঠকে হাজির থাকবেন সংগঠনের চেয়ারপার্সন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তার আগে বুধবার প্রকাশ্যে আসে তার আমন্ত্রণপত্র। তাতে দেখা যায়, দলের জেলার সমস্ত নেতার নাম থাকলেও নাম নেই স্থানীয় বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির।
গত ১৭ ডিসেম্বর দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুধু বিধায়কপদ ছাড়েননি তিনি। তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনায় পালটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পরদিনই পালটি খান জিতেন্দ্র। কলকাতায় এসে বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। জানান, ভুলবোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।
এর পরও জিতেন্দ্রর গতিবিধিতে তৃণমূলের অন্দরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। গত সপ্তাহে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন, রাজনীতিতে ফুলস্টপ বলে কিছু হয় না। এর পরই তৃণমূলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, দলে ফিরলেও পদ ফেরত পাবেন না জিতেন্দ্র। গত মঙ্গলবার কলকাতায় যে হোটেলে বিজেপি নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন সেখানে সপরিবারে হাজির হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তা নিয়েও ফের জল্পনা ছড়ায়।
এর মধ্যে দলীয় সম্মেলনের কার্ডে জিতেন্দ্র নাম না থাকা নিয়ে জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মিনতি হাজরা বলেন, ‘যা হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সব জানেন। কাউকে আসতে বারণ করা হয়নি। জিতেন্দ্রবাবু দলে থাকলে উনি সভায় আসতেই পারেন।’
এই নিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া, ‘আমি হঠাৎ করে দল ছাড়ায় একটা অনাস্থার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক হতে একটু সময় লাগবে। দলের হয়ে কয়েকটি কর্মসূচির আয়োজন করলেই ধীরে ধীরে আস্থা ফিরবে। তখন নামও থাকবে।’