মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় রাসবিহারীতে বামনেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছিল। প্রতিবাদ সভা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের বলে অভিযোগ। এবার সেই ঘটনায় পাল্টা বামেদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও গ্রেফতার হয়েছিলেন। তারপরই এই নিয়ে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ট্যুইট করে লেখেন, ‘বই কে এত ভয়!’ পাশে থাকার বার্তাও তিনি দিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? এই ঘটনার পর এবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বই নিয়ে মতবিরোধ কেন হবে? পুজোর ভিড়ে রাজনৈতিক প্ররোচনার প্রচার নিয়ে সমস্যা। তৃণমূল কংগ্রেসের স্টলও আছে। দৈনন্দিন রাজনীতি নেই সেখানে। সিপিআইএম পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করছে। পুজো মানে না, তা পুজোর দিন স্টল কেন? ওরা রবিবার করে স্টল করুক। বই পড়া, না পড়া নিয়ে কোনও ইস্যু হয়নি। নাটক করল ওরা।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? রাসবিহারীর কাছে সিপিআইএমের বুক স্টলে লাগানো ছিল ‘চোর ধর, জেল ভর’ স্লোগান। যা দুর্গাপুজোর মধ্যে প্ররোচনা দেওয়ার সামিল বলে মনে করে পুলিশ। তখন তাঁদের তা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করে পুলিশ। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। এরপর ওই বুক স্টলে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সিপিআইএমের অভিযোগ, সেই পোস্টার দেখেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই বিপণিতে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে অষ্টমীর দিন বিকেলে রাসবিহারী অ্যাভিনিউতে জমায়েত করেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, রবীন দেব, কল্লোল মজুমদার, গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়রা। অভিযোগ, সেই বই বিপণি আবার চালু করার উদ্যোগ নিয়ে পুজো কমিটির সঙ্গে গণ্ডগোল বাধে। তখন পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
কী অভিযোগ তোলা হল বামেদের বিরুদ্ধে? এই ঘটনা নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘পুজোর সময় প্ররোচণামূলক ব্যানার কেন লাগানো হবে। আমরা তো সিপিআইএমকে বলি গণহত্যার নায়ক। পুজোর সময় কি সেসব টাঙিয়ে রাখব? বুদ্ধবাবু বলেছিলেন ‘চোরেদের মন্ত্রিসভা’, সে সব কথা পুজোর সময় সামনে আনা হয়েছে? একসময় জাগো বাংলার স্টল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেটা তৃণমূল ভোলেনি। প্ররোচণামূলক কাজ দেখলে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিতেই পারে।’