স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাতের রাজপথের দখল নিতে চলছেন মহিলারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নয়া ছকের কথা উঠে এসেছে। আরজি কর হাসপাতালে ঘটা ঘটনার জেরে প্রতিবাদে রাতের কলকাতায় পথে নামতে চলেছেন একদল মহিলারা। গোটা রাজ্যজুড়ে মহিলারা একজোট হয়ে তা করবেন বলে সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর। আর এই কর্মসূচি করতে চলেছে বাম–মহিলা যুবরা। তাঁরাও অবস্থান মঞ্চ তৈরি করেছে আরজি কর হাসপাতালের ক্যাম্পাসে। আর অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এবার তাঁদেরই বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে এখন গোটা বাংলা তোলপাড়। ইতিমধ্যেই ফাঁসি এবং পুলিশ না পারলে সিবিআই তদন্তের কথা বলেছিলেন মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্ত দিয়ে দিয়েছে। তাতে অক্সিজেন পেয়েছে সিপিএম এবং বিজেপি। তাই সিপিএমকে আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘সিপিএমের বিপ্লবীরা আগে বর্ণালী দত্ত, ডাঃ অনিতা দেওয়ান, তাপসী মালিক, ধানতলা, নন্দীগ্রামের হিসেব দিক। রোজ রাত আর ভোরে এই বাংলায় অসংখ্য মা, বোন যাতায়াত করেন। গ্রাম থেকে স্টেশন, রেল ধরে শহর। কতরকম কাজ। দেখুন। বুঝুন। রাত জমায়েতের নাটক দরকার নেই।’
কলকাতা হাইকোর্ট জনস্বার্থ মামলার উপর ভিত্তি করে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এতে একটা বিষয় ঘটল, পুলিশ তদন্ত করার সুযোগ পেল না। অথচ মূল অভিযুক্তকে প্রথমে কলকাতা পুলিশই গ্রেফতার করেছে। আর সিবিআই তদন্ত দিতেই খুশি সিপিএম–বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে ধরনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে তাঁদের একটাই দাবি থাকবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাই। সিপিএম ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। তাই মাঠে নামানো হয়েছে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। আর তারপরই কুণালের বাক্যবাণ ধেয়ে এল, ‘রাত জমায়েতের নাটক দরকার নেই।’
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের ৬ জেলাই এখন টার্গেট বাংলাদেশিদের কাছে, অনুপ্রবেশ রুখতে তটস্থ বিএসএফ
রাতের এই কর্মসূচি হবে কোনও রাজনীতির রঙ ছাড়া। সেখানে পতাকাবিহীন রাজ্যের মহিলারা আরজি কর হাসপাতালের এই নির্মম ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হবেন বলে ঠিক করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হবে যাদবপুর, অ্যাকাডেমি এবং কলেজ স্ট্রিটের পথ ধরেই। আপাতত এভাবে শুরু হলেও পরে আন্দোলন সারা রাজ্যজুড়ে রাতে মহিলারা পথে নামবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার দেখা গেল, মাঝরাতে আরজি কর হাসপাতালে সিপিএমের ছাত্র–যুব–মহিলারা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই সংগঠনের মহিলারা অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। সেটাকেই খোঁচা দিলেন কুণাল।