অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই টাকা কার? ইডি আধিকারিকদের অর্পিতা জানিয়েছেন, এই টাকা তাঁর নয়। টাকা পার্থের। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ, রবিবার সংবাদমাধ্যমে জানান, তাঁর টাকা নেই। দু’জনেই বলছেন এই টাকা তাঁদের নয়। তাই এখন রাজ্য–রাজনীতিতে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? আজ, রবিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁদের। তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করলেন, উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়। এদিন ফের তাঁর গলায় শোনা যায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। তিনি এদিন বলেন, ‘আমার কোনও টাকা নেই। সময় এলে বুঝবেন।’ তা হলে অর্পিতার বাড়িতে উদ্ধার হওয়া টাকা কার? কী ইঙ্গিত পার্থর?
কী বলছেন কুণাল ঘোষ? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা প্রশ্ন, ‘তাঁর টাকা নেই, এই কথা এতদিন বলেননি কেন পার্থ? পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দলের একটা সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। প্রথম যখন সুযোগ পেলেন, তখন চক্রান্ত, নির্দোষ বললেন না। হঠাৎ দু’দিন ধরে তিনি চক্রান্ত, আমার টাকা নয়— এই সব বলছেন। যেখানে দলের সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, সেখানে পার্থদা কবে কী বলছেন, সে নিয়ে বলব না কিছু। কখনও হয়তো বলবেন আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি না নিজেই জানি না। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে চিনি না। ওঁর যা বক্তব্য আদালতে বলুন। এসব কথা উনি প্রথম দিন কেন বলেননি?’
উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথম বলেছিলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তারপর বললেন, দলের সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা তা সময় বলবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত সঠিক। এখন আবার বলছেন, ‘আমার কোনও টাকা নেই’। অথচ এই টাকা কার? তা তিনি খোলসা করেননি। তবে আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি হেফাজতে থাকলে তাঁর বক্তব্যের মূল্য থাকে না।