পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটা বোমা মারলে ১০টি বোমা পাল্টা মারার নিদান দিয়েছিলেন বিজেপির হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। দু’দিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নবান্ন অভিযান উপলক্ষ্যে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা রাখার নিদান দিয়েছিলেন। এই ধরনের মন্তব্য হিংসা ছড়ায় বলে মনে করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বিজেপি বিধায়ককে গোপাল ভাঁড় বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক? ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ভুলে যাও। এবার একটা বোমা মারলে ১০টা পড়বে।’ বোমা মারার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নদিয়ায় আগে গোপাল ভাঁড় ছিলেন, এখন অসীমবাবু আছেন। ১০টা বোমা মারা হবে এসব কোন ধরনের কথা? আর অসীমবাবুর মুখের যা ভাষা, ওনার লোকেরাই ভিডিও ছেড়েছিল। কিছু বলার নেই।’ এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেখে এখন অসীম সরকার দাবি করেন, ‘আমি কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করিনি। আমি মনসা পুজো করি। কিন্তু তাই বলে সাপ আমাকে কামড়ালে আমি কি ছেড়ে দেব? সেটাই আমি বলেছি। কোনও অন্যায় করিনি।’
আর কী বলেছেন তিনি? তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রতিটি নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। কিন্তু পার্থ–অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় এখন অক্সিজেন পেয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, ‘আগামীতে দেখুন কতজন জেলখানায় ঢোকে। তোমরা ঘর দিয়ে টাকা নাওনি? তোমরা পায়খানা করে দিয়ে টাকা খাওনি গরিব মানুষের? ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ভুলে যাও বন্ধু। এটা ২০২২ সাল। ওই নির্বাচনে তোমরা যা করেছ, তোমরা যা করেছ পৌরসভা নির্বাচনে সে সব অতীত। তোমরা আর ভেবো না আগামীতে ভারতীয় জনতা পার্টির সৈনিকরা ঘুমিয়ে থাকবে। ওরা যদি একটা বোমা মেরে আপনাকে মারতে চায় তাহলে ১০টা বোমা মারার ক্ষমতা আছে আমাদের। আমরা বোমা মারব না, কিন্তু তোমরা মারতে এলে আমরা ছাড়ব না।’