আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ। এই আন্দোলনে বারংবার অস্বস্তিতে পড়ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কখনও তারা বলছে, আন্দোলন ন্যায্য, তারা তা সমর্থন করছে। আবার থেকে থেকেই আন্দোলনকারীদের আক্রমণ শানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এই সবের মাঝেই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমনকী গত ৯ অগস্ট যে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তিনি নিজে থ্রেট কালচারের বলি হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে একাধিক প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ। সেই মতো আরজি করে ৫১ জন জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। সেই ৫১ জনের পক্ষে এবার সওয়াল করলেন কুণাল। (আরও পড়ুন: মুখোমুখি জেরায় আদৌ কোনও ফল মিলছে? আর কতদিন CBI হেফাজতে অভিজিৎ-সন্দীপ?)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত নিয়ে CJI-এর বড় নির্দেশ, তারপরই নির্যাতিতার বাড়িতে CBI
এর আগে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ একাধিক চিকিৎসক সহ মোট ৫১ জনকে সাসপেন্ড করা হয় আরজি কর থেকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ পেয়ে কড়া শাস্তির পথে হেঁটেছ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এবার কুণালের পালটা দাবি, 'এই ছেলেমেয়েগুলি কোথায় যাবে? কীভাবে পড়বে? কীভাবে কাজ করবে? এরাও মেধাবী।' তাঁর অভিযোগ, 'ভিন্ন রাজনৈতিক মত বলেই আরজি করে ঢউকতে দেওয়া হচ্ছে না এই ৫১ জন চিকিৎসককে।' তাঁর কথায়, 'যাদের উপর রাগ আছে, এখন তাদের গায়ে কোনও তকমা লাগিয়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ঢোকা বন্ধ করার প্রবণতা আপত্তিকর।' (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে 'অন্য কারও নির্দেশ'? সন্দীপ ঘোষেরও 'মাথা' খুঁজছে সিবিআই?)
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুনের পর একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি করছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। তাঁদের দাবি দাওয়ার মধ্যে অন্যতম হল সব প্রতিষ্ঠানে এই থ্রেট কালচার বন্ধ করতে হবে। এই নিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে চিকিৎসকদের। তবে এই ইস্যুতে নির্দিষ্ট কোনও পদক্ষেপ এখনও করা হয়নি। এই আবহে কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়নি।
এই আবহে কুণাল গোষের বক্তব্য, 'মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা সরকার নেবে না। সরকার কথা রাখছে। কিন্তু উলটোদিকে আন্দোলনকারীদের চাপে আর জি করের ৫১ জন-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বহু জুনিয়র ডাক্তারকে যে কোনও অভিযোগ তুলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু চলতি পরিস্থিতির সুযোগে যে কোনও অভিযোগ রটিয়ে, অধ্যক্ষদের ঘেরাও করে চাপ দিয়ে রাজনৈতিক বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের সরাচ্ছে কিছু আন্দোলনকারী। এই ছেলেমেয়েগুলি কোথায় যাবে? কীভাবে পড়বে? কীভাবে কাজ করবে? এরাও মেধাবী। অবিলম্বে এদের সমস্যার সমাধানও করা দরকার। যাদের উপর রাগ আছে, এখন তাদের গায়ে কোনও তকমা লাগিয়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ঢোকা বন্ধ করার প্রবণতা আপত্তিকর। এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।'