আজ, শনিবার সকাল থেকেই চার বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর গণনা রাউন্ড যত এগোচ্ছে ততই পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। এই আবহে বিজেপি এখন মাঠ ছেড়ে পালাতে চলেছে। এমন পরিস্থিতি যে হতে পারে সেটা আগেই বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। যাঁর সঙ্গে মানিকতলার বিজেপি প্রার্থীর বাক–বিতণ্ডা তুঙ্গে উঠেছিল। নির্বাচনের আগের দিন এবং নির্বাচনের দিন একে অন্যকে নানা গোপন কথায় বিঁধেছিলেন। তারপর উপনির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন কল্যাণ চৌবে। এবার ফলাফলের আগেই মানিকতলা নিয়ে বড় আশা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন কুণাল ঘোষ।
উপনির্বাচনে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দিয়েছেন কল্যাণ চৌবে বলে দাবি করেছিলেন কুণাল ঘোষ। পাল্টা বিজেপিতে যোগ দিতে কল্যাণের বাড়িতে এসেছিল কুণাল এমন দাবিও করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সুতরাং মানিকতলা উপনির্বাচনে টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আজ সকাল থেকেই সেখানে দেখা যাচ্ছে, একের পর এক রাউন্ড গণনা হতেই এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন আগেই বলেছিলেন কুণাল ঘোষ। এবার জয়ের দুয়ারে রয়েছেন সুপ্তি দেবী। তাই বিষয়টি নিয়ে আবার আগাম এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করলেন কুণাল ঘোষ।
সদ্য লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। তার উপর চার উপনির্বাচনেও যদি পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় তাহলে বঙ্গ–বিজেপির অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে। আজ কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডেকে রেকর্ড জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে অভিনন্দন। দলের প্রচার ও কর্মপদ্ধতিতে সাড়া দিয়েছেন মানুষ। কর্মী, সমর্থকদের পরিশ্রম সার্থক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। সাধনদাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ এই লেখার মধ্যে দিয়ে কুণাল বুঝিয়ে দিয়েছেন সুপ্তি পাণ্ডে জিতছেন মানিকতলায়।
আরও পড়ুন: মধুপর্ণা ঠাকুর বড় ব্যবধানে এগিয়ে যেতেই উঠল জয় বাংলা স্লোগান, গণনাকেন্দ্রে আলোড়ন
কারচুপি হয়নি বলেই নির্বাচন কমিশন পুনর্নির্বাচন হয়নি। যা দাবি করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। তবে যদি ট্রেন্ড এভাবেই চলতে থাকে তাহলে গণনা শেষে চার শূন্য হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। চারটি বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলে বিজেপিকে শূন্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আর এই ফলাফল প্রকাশের কাজ চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুপ্তি পাণ্ডে বলেন, ‘বাচ্চা ছেলেরা ভুল করেছিল। তাদের বলেছি, তোমরা ঠিক করনি। আমি পছন্দ করি না এসব। প্রার্থীকে বাধা দেবে কেন? বাচ্চা ছেলেরা গো–ব্যাক বলেছিল। কান মুলে দিয়েছি। ২৫টা ছেলে থাকলে দুটো তো এমন করবেই। তাদের বকে দিয়ে বোঝাতে হবে।’