সারদা কাণ্ডে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টটরেট বা ইডি। সেখানে দুই সাংবাদিকের নাম রয়েছে। তার মধ্যে একজন কুণাল ঘোষ। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম থাকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেন, চার্জশিটে নাম ছিল না। আর টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার পরও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে তাঁর নাম আসলে স্নায়ুর চাপ সৃষ্টির কৌশল।
এই বিষয়ে টুইটার ও ফেসবুকে পৃথক দু’টি পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘শুনলাম সারদা মামলায় ইডি আমার নাম অতিরিক্ত চার্জশিটে রেখেছে। ২০১৩ সালে আমি সব তথ্য পেশ করেছি। চার্জশিটে আমার নাম ছিল না। বৈধ বেতন ও বিজ্ঞাপনের টাকা স্বেচ্ছায় ফেরত দিয়েছি। তবু, আট বছর চার্জশিট! কোর্টে বুঝে নেব। এসব করে আমার স্নায়ুতে চাপ দেওয়া যায় না।’
আর ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘ইডি–র চার্জশিট! কতটা মিথ্যা এবং কল্পিত, একটি উদাহরণ দিই। বাকিটা কোর্টে বুঝব। তদন্তকারী সংস্থা যা খুশি লিখে জড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু তার পরেও লড়াই আছে। বেঙ্গল মিডিয়া, অর্থাৎ চ্যানেল টেনের প্রতিটি কর্মী এবং প্রতিটি সদস্য জানেন যে সুদীপ্ত সেন যখন শান্তনু ঘোষের কাছ থেকে এটি কেনেন, তখন আমি ত্রিসীমানায় ছিলাম না। এমনকী সুদীপ্ত সেনকে চিনতাম না। আমাদের সঙ্গে আলাপ অনেক পরে, চ্যানেল ১০ তখন চলছে পুরোদমে। অথচ কী অবলীলায় ইডি লিখে দিল আমি বা আমরা কিনিয়েছি। লিখল বটে, বিভ্রান্তি ছড়ালো, কিন্তু কোর্টে প্রমাণ করতে হবে তো। যা ইচ্ছে লিখে দিলেই কাজ শেষ?’
সূত্রের খবর, অতিরিক্ত যে চার্জশিট ইডি দিয়েছে তাতে কুণাল ঘোষের ‘স্ট্র্যাটেজি মিডিয়া’ সংস্থার নাম রয়েছে। ইডি–র ভাষায় এই অতিরিক্ত চার্জশিটকে ‘প্রসিকিউশন কমপ্লেন’ও বলা হয়ে থাকে। বিচারক ইডি-র সেই প্রসিকিউশন কমপ্লেন গ্রহণ করেছেন। এরপরই ইডি-র পক্ষ থেকে চার্জশিটে নাম থাকা ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বিচার শুরু করার আবেদন জানানো হয়েছে।