কলকাতার ভোটার সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁকে সরাসরি আক্রমণ এবং চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘সাস ভি কভি বহু থি, দিলীপ দা ভি কভি প্রেসিডেন্ট থা’, নতুন সিরিয়াল চলছে বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে। সোমবার রাজ্য বিজেপির বৈঠকে দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। আবার হেস্টিংস অফিসে ঢুকে বসে থাকতে হয় তাঁকে। বৈঠকে ডাকা হয়নি। তারপর কলকাতার ভোট এবং ভোটার নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? কলকাতার ভোটারদের নিয়ে তাঁর মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিজেপি কবে কলকাতার সিট পেয়েছে? কলকাতার মানুষ দুর্নীতি নিয়ে ভাবে না। তারা নিজেদের সুবিধার কথা ভাবে। গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ চলছে। কলকাতায় কোনও প্রতিবাদ দেখেছেন? আমি যা বলি, সত্যি বলি। কারও খারাপ লাগলে কিছু করার নেই। কারও ক্ষমতা থাকলে কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক। এখানকার বাঙালির এটাই চরিত্র। কালীঘাটের কাছাকাছি থাকব। আনন্দে থাকব। তাতে ভিখারি হয়ে থাকলেও কোনও ক্ষতি নেই। পুজোর টাকা পেলেই খুশি।’
আর কুণাল ঘোষ কী বলেছেন? এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আসলে যে সান্তনা পুরষ্কারের কথা বলছেন দিলীপ দা, তা তৃণমূল কংগ্রেসকে বলছেন না। উনি বলছেন নিজের দলের সদস্যদের। কলকাতার মানুষকে উনি অপমান করে চলেছেন। কলকাতার মানুষ যথেষ্ট সচেতন। কলকাতা রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র। রাজধানী হওয়ার ক্ষমতা রাখে। সেখানে অপমান করা। মানুষ বিজেপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাই তাঁরা পরাজিত করছেন বিজেপিকে। খোলা চ্যালেঞ্জ দিলাম। প্রার্থী হন। জামানত জব্দ করে দেখাব।’
কী চ্যালেঞ্জ করেছেন কুণাল ঘোষ? বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির মন্তব্যের পাল্টা কুণালের চ্যালেঞ্জ, ‘দিলীপ ঘোষ মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তার অধিকার নেই কলকাতার মানুষকে অপমান করার। যেই এলাকাতে বিজেপি হারবে সেখানের মানুষের অপমান করার অধিকার নেই। শুনলাম ওনাকে তো কাল মিটিংয়ে ঢুকতেই দেয়নি। সাস ভি কভি বহু থি, দিলীপ ভি কাভি প্রেসিডেন্ট থা। আপনি চ্যালেঞ্জ নিন৷ কলকাতার বুকে ভোটে দাঁড়িয়ে দেখান। প্রার্থী হন। দেখিয়ে দেব ভোটে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিজেপি অনুরোধ করেছে সিভিল ড্রেসে থাকতে। যাতে তারা হেঁটে মিছিলে যায়। আগে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইত। এখন মিছিলে লোক ভরাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে।’