ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। মা–মেয়েকে একসঙ্গে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছিল। অভিযুক্তের নাম হলদিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন। আর তার সঙ্গে ছবি রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে ঝড় বইয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী করেছেন কুণাল ঘোষ? মা–মেয়েকে একসঙ্গে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গে ছবি টুইট করেছেন কুণাল ঘোষ। তারপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও কুণালের এই অভিযোগের জবাব দেননি শুভেন্দু। আজ, সোমবার খোঁচা দিয়ে কুণাল বলেন, ‘হলদিয়াতে মা–মেয়েকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার সেই সাদ্দামের পর পর ছবি শুভেন্দুর সঙ্গে। ছবি কি ঠিক? ছবি ঠিক হলে শুভেন্দু জবাব দিক। ও এই সাদ্দামের পৃষ্ঠপোষক ছিল কি না। দেখুন, কার জন্য কীভাবে ওখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম হয়েছিল। ওর চোখ দিয়ে এলাকাকে দেখেছিল দল। আর ও কী করেছে। আজ সাধু সাজছে।’
ঠিক কী ঘটেছিল হলদিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা রমা দে এবং তাঁর মেয়ে রিয়াকে হুগলি নদীর পাড়ে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ ওঠে হলদিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছিল। দু’বছর পর আজ সেই সাদ্দামের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর তিনটি ছবি টুইটারে তুলে ধরেছেন কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু? আজ নিজের জেলায় বিদ্রোহ চরমে ওঠায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই আজ খুনির সঙ্গে ছবি তুলে ধরেছেন কুণাল ঘোষ। তাতে রাজ্য–রাজনীতিতে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও এই আক্রমণ উড়িয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘জেলখাটা আসামির কোনও প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না।’