রাজ্য–রাজনীতিতে এখন আলোড়ন ফেলা নাম হল—ইডি এবং সিবিআই। তাদের ধারেকাছে কেউ যেতে চান না। এই রাজ্যের এক মন্ত্রী এবং এক নেতাকে তারাই গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে। দু’একজন নেতা, মন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে আগ বাড়িয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর তা নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
কেন সিবিআই দফতরে হঠাৎ গেলেন কুণাল? কুণাল ঘোষের এই সিবিআই দফতরে নিজের থেকে যাওয়া নিয়ে যখন চর্চা শুরু হয়েছে তখন জানা গেল তিনি একটি ইন্টিমেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এলাকার বাইরে গেলে সিবিআইকে জানিয়ে যেতে হবে। তাই সিবিআইকে জানাতে আজ শুক্রবার এসেছিলেন সিজিও কমপ্লেক্সে। তিনি দলীয় কাজে এলাকার বাইরে যাবেন।
নবান্ন অভিযান নিয়ে কী বললেন কুণাল? নবান্ন অভিযান এবং তার জেরে গ্রেফতার নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নবান্ন অভিযানের দিন গুন্ডামি হয়েছে। আসলে ত্রিপুরা রাজ্য তো কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্টে গুন্ডামিতে দেশের প্রথম শিরোপা পেয়েছে। এখানেও তো গুন্ডামিটা করেছে লাঠি, রড, ইট, পাথর দিয়ে। সশস্ত্র হয়ে তারা এসেছিলেন নিরস্ত্র পুলিশ অফিসারদেরকে খুন করতে। মারধর করা হয়েছে ২৭ জন পুলিশ কর্মীকে। যারা যারা এই কীর্তি করেছে— পুলিশকে মেরেছে, আগুন দিয়েছে, তারপর এলাকায় গিয়ে লুকিয়ে বসে আছে, এলাকার মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ প্রত্যেকটাকে চিনিয়ে দিন।’
আর শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে কী বললেন? শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘আমি কোন রাজনৈতিক প্রশ্ন করলে শুভেন্দু অধিকারী সেটা থেকে পালিয়ে যায়। উত্তর দিতে পারে না। তখন বলে আমি জেলে ছিলাম। আমার যুক্তি হচ্ছে, আমি যে জেলে ছিলাম সবাই জানে। এই শুভেন্দুবাবু তোমরা সব সারদার টাকা নিয়েছ, আমার কাঁধে বন্দুক রেখেছ, আমি সেই আইনি লড়াই লড়ছি। আর তুমি সিবিআইয়ের এফআইআর–এ নাম থাকা লোক। জেল এড়াতে তুমি বিজেপিতে গেছো। তুমি যদি বলো জেলে থাকার প্রশ্ন, তাহলে তুমি যে অমিত শাহের পা ছুঁয়ে বিজেপিতে গেলে, তিনি তো খুনের মামলায় জেলে ছিলেন। শুভেন্দু অমিত শাহের জেলটা কি জেল ছিল না, ওটা কি তাজমহল ছিল?’