সদ্য ফিরে পেয়েছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ। তবে পদ থাকুক বা না থাকুক তিনি রাজ্য–রাজনীতির নানা বিষয় নিয়ে প্রত্যেকদিন বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলেন। নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও অনেক সময় সামনে নিয়ে আসেন। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের আস্ফালন মোকাবিলা করেন কড়া ভাষায়। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্যে তাতে তাঁকে একা মোকাবিলা করতে দেখা গিয়েছে। হ্যাঁ, তিনি কুণাল ঘোষ। এবার কুণাল ঘোষের অতীতের ১০ বছর নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। যার স্মৃতিচারণ কুণাল নিজেই করেছেন।
কুণাল ঘোষের জেল জীবন সেখানে রয়েছে। আর সেখানেই তাঁর আত্মহত্যা করার চেষ্টা বা প্রিজন ভ্যান থেকে গলা বাড়িয়ে তাঁর বলা নানা কথা আজও নানা সময়ে উঠে আসে আলোচনায়। এবার সেই স্মৃতিচারণ করলেন স্বয়ং কুণাল ঘোষ। সারদা মামলায় কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর পুলিশ। তারপর ২০১৪ সালে জেলেই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এখনকার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। ওই আত্মহত্যার চেষ্টা নিয়ে মামলাও হয় আদালতে। জীবনের সেই কঠিন অধ্যায়ের কথা ১০ বছর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশন থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনা–রুপা ও নগদ উদ্ধার, যাত্রীর ব্যাগে সম্পদ
সদ্য রাজ্যের ৬টি উপনির্বাচন শেষ হয়েছে। যার ফলাফল প্রকাশ পাবে আগামী ২৩ নভেম্বর। মাঝে কিছুটা সময় মিলেছে। তাই অতীতের স্মৃতি আউড়ে লিখলেন নিজের মনে কথা। ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্সি জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন কুণাল ঘোষ। এই ঘটনা নিয়ে এবার কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘গভীর রাতে জেল অফিসার অসীম আচার্যের বেনজির পদক্ষেপে প্রাণ বেঁচেছিল বলে পরে শুনেছিলাম।’ আত্মহত্যা করার চেষ্টার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। পরে জেলে ফিরে আসার পর সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা হয় তাঁকে। তবে আত্মহত্যার চেষ্টার নতুন মামলা দায়ের হয়।
এই আত্মহত্যার চেষ্টার মামলায় কুণাল ঘোষকে দোষী সাব্যস্ত করলেও তাঁর মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। কুণাল ঘোষ কিন্তু আজও মনে রেখেছেন, রায়দানের সময় বিচারক কেমন করে তাঁকে বেঁচে থাকার এবং কাজের অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। এই সব অতীতের অভিজ্ঞতা তাঁকে সমৃদ্ধ করেছে বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। তাই কুণাল লিখেছেন, ‘ওই রাত এবং ওই জীবন, আমার মনে আছে, মনে থাকবে। জীবনের পাতায় কত কথিত, অকথিত মণিমুক্তো, যা ক্রমশ নিয়ে চলেছে মলাটের শেষপ্রান্তের ক্লাইম্যাক্সের দিকে।’