বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেও বিতর্ক তৈরি হয়েই চলেছে। আর সেটা তৈরি হচ্ছে তাঁর নিজস্ব মন্তব্যে। একবার বলেছিলেন, উপনির্বাচনে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে। আর এবার বললেন, তিনি ফের কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে জয়ী হবেন। সুতরাং বারবার এমন মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করছেন তিনি। শুক্রবার বিধানসভা ভবনে পিএসি’র বৈঠকে যোগ দিতে এসে মুকুল রায় জানালেন, কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে আবার বিজেপির টিকিটে দাঁড়ালে বিপুল ভোটে জিতবেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বললেন না কেন?
আজ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দ্বিতীয় দিনের বৈঠক ছিল। বৈঠক শুরু হওয়ার ৩৬ মিনিট পর মুকুল রায় পৌঁছন বিধানসভায়। দেড়টা নাগাদ তিনি বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান। তখন সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কৃষ্ণনগর থেকে দাঁড়ালে কী তিনি জিতবেন? আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আবারও বিপুল ভোটে জিতব। তবে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়ালে কী হবে, সেটা মানুষ ঠিক করবে।’ তবে এদিন মুকুল বলেন, ‘আমি পুরোপুরি তৃণমূল কংগ্রেসেই আছি।’
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন মুকুল রায়। এরপর দল বদলে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। পিএসি’র চেয়ারম্যানও হন। যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে তিনি এমন মন্তব্য কেন করছেন? সূত্রের খবর, দলত্যাগ আইনে যাতে তাঁর চেয়ারম্যান পদ খোয়া না যায় এবং বিধায়ক পদ খারিজ না হয় তাই এমন মন্তব্য করছেন মুকুল রায় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ত্রিপুরা ইস্যুতে আজ মুখ খোলেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় যেটা হচ্ছে, সেটা খুব অন্যায়। এই হামলা হওয়া উচিত নয়। এটা স্পষ্ট ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস শক্তি বৃদ্ধি করছে। এটা রাজনৈতিক লড়াই। ত্রিপুরায় আগের থেকে ভাল ফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।’ এই একই মুখে দু’রকম কথা বলা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।