মঙ্গলবার সকালে জীবনবসান ঘটল মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। আজ ভোরে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রায় এক মাস ধরে ভুগছিলেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আর বাড়ি ফেরা হল না মুকুল পত্নীর। কোভিড মুক্ত হলেও পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালে দীর্ঘদিন কাটাতে হয় তাঁকে। ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিয়েছিল তাঁর। বর্তমানে সেই সমস্যার সমাধান করতেই চিকিত্সা চালাচ্ছিলেন ডাক্তাররা।
গত ১২ মে করোনায় আক্রান্ত হন মুকুল রায় ও তাঁর স্ত্রী। প্রথমে মুকুল রায় সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে আইসোলেশনে ছিলেন। পরে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু, মুকুলের স্ত্রীকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। করোনামুক্ত হলেও কোভিড পরবর্তী জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। করোনার কারণে ফুসফুসের ক্ষতি হয়ে যায়। এরপরেই আরও ভালো চিকিত্সার জন্যে চেন্নাই থেকে চিকিৎসকের একটি দল কলকাতায় এসে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের কথা বলেন। সেই মতো কৃষ্ণাকে চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়া। সেখানেই একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। আজ ভোরে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।