জহর সরকারের ছেড়ে দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ পদ। আর সেই পদে আসীন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন। আজ, শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবর চাউর করা হয়েছে। তবে আজ এই ঘটনার পর ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের নেতারা। আজ এই জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। আর বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
ইতিমধ্যেই এনডিএ সরকারের ক্যাবিনেটে পাশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল। যার বিরোধিতা করেছেন দেশের তামাম বিরোধী দলের নেতারা। এই আবহে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যও চাইছেন সর্বভারতীয় নেতারা। এই দুটি বিষয় নিয়েই আজ মুখ খোলেন ঋতব্রত। তিনি বলেন, ‘এই এক দেশ, এক ভোট আসলে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর আক্রমণ। যা বিজেপি করে চলেছে। এটা কিছুতেই চলতে পারে না। আর দেশের বিশিষ্ট নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতৃত্বে চাইছেন। কারণ বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসাবে একমাত্র প্রমাণিত তৃণমূল কংগ্রেস।’
আরও পড়ুন: ‘সঠিক পথে তদন্ত করছে না সিবিআই’, সন্দীপের জামিনে ফুঁসে উঠলেন নির্যাতিতার বাবা
রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রাক্তন আইএএস জহর সরকার। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা চিঠি লিখে জানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তখন থেকেই আলোচনা চলছিল, কাকে রাজ্যসভায় পাঠাবে তৃণমূল কংগ্রেস? তখন নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। গত ৭ ডিসেম্বর সেই গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আসনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। তাই ১৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঋতব্রতকেই জয়ী ঘোষণা করা হল। তিনি রাজ্যসভার নতুন সাংসদ।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তখন সিপিএমের হয়ে ওই উচ্চকক্ষে গিয়েছিলেন। একদা বামপন্থী রাজনীতির প্রথমসারিতে ছিলেন। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ–সহ নানা অভিযোগ ওঠায় তাঁকে ২০১৭ সালে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঋতব্রতর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে তদন্তও শুরু হয়। সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এক দক্ষতার সঙ্গে পরিশ্রম করে সংগঠন গড়ে তোলেন। তখন তাঁকে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি হয়েও সফল হন তিনি। আর সেটারই পুরষ্কার পেলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।