সুন্দরবনে রাজ্যের সরকারি দলের মদতে অবাধে ম্যানগ্রোভ নিধন চলছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে শাসকদলের মদতে তৈরি হচ্ছে একের পর এক ভেড়ি।
দিলীপবাবু বলেন, ‘উপকূলে সুন্দরী গাছের ম্যানগ্রোভ জঙ্গল কেটে সেখানে ভেড়ি তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি দলের নেতা ও বিধায়কদের মদতে এই কাজ হয়ে চলেছে একাধিক জায়গায়। সংরক্ষিত এলাকায় জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেড়ি। কিন্তু বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে না’।
সুন্দরবনে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ করে দিলীপবাবু বলেন, ‘আয়লার পর যে টাকা এসেছিল তা দিয়ে পাকা বাঁধ তৈরির কথা ছিল। সেজন্য তৎকালীন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী হয়েছিলেন। সেজন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার পর ২ জন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তারা কিছু করেননি’।
কেন্দ্রের পাঠানো টাকাও নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে মানুষ আমফানের ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। ১ বছর হয়ে গেল এখনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। বোঝাই যাচ্ছে যে টাকা পয়সা এসেছে। কিন্তু ব্যবহার হয়নি। এবারেও টাকা এলে কীভাবে ব্যবহার হবে সন্দেহ আছে’।
তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্রের পাঠানো টাকা সঠিক ভাবে খরচ হলে ১৩৪টা বাঁধ ভাঙল কেন? দিলীপবাবু বলেন, ‘সমুদ্র উপকূলকে যেন ক্ষতবিক্ষত না করা হয়। তার জমির চরিত্র পরিবর্তন যেন না করা হয়, সেটা রাজ্য সরকারের দেখা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকা কী ভাবে ব্যবহার হয় জানি না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন না কি আমফানে একটা টাকাও পাঠায়নি। আমাদের কাছে হিসাব আছে তিন বারে প্রায় ২,৭৫০ কোটি টাকা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। সেই টাকা কী ভাবে ব্যবহার হয়েছে আমরা জানি না। নইলে কী ভাবে ১৩৪টা বাঁধ ভেঙে গেল?’