কয়েক দিন আগেই সংযুক্ত জনতা দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। কিন্তু খুব বেশিদিন হয়তো সরাসরি রাজনীতির বাইরে থাকবেন না প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূল সূত্রের দাবি, তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর কথা ভাবনাচিন্তা করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
মার্চ মাসের ২৬ তারিখ রাজ্যসভা নির্বাচন। মোট পাঁচটি আসনে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে চারটি তৃণমূলের দখলে। লোকসভায় শক্তি কমেছে অনেকটাই। তাই রাজ্যসভায় প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, এমন লোকদেরই প্রার্থী করা হবে, যারা রাজ্যসভায় গিয়ে স্পষ্ট ভাবে দলের কথা তুলে ধরতে পারেন। তাই এক জন সাংসদ ছাড়া অন্য রাজ্যসভার আসনের জন্য নয়া মুখ খুঁজছে তৃণমূল।
সেই পরিপ্রক্ষিতেই উঠে এসেছে প্রশান্ত কিশোরের নাম। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের সাহায্য নেয় তৃণমূল। নতুন করে জনসংযোগ গড়ে তোলার জন্য দিদিকে বলো শুরু করা হয় কিশোরের পরামর্শমাফিক। কিন্তু এবার কিশোরকে সরাসরি তৃণমূলের হয়ে রাজ্যসভায় চায় নেতৃত্ব, এমনই জানা যাচ্ছে।
বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের এক অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন প্রশান্ত কিশোর। শহুরে শিক্ষিতদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। প্রশান্ত কিশোরের ওপর ভর করে জাতীয় স্তরে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে সুবিধা হবে বলে মনে করছে তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোর ছাড়াও তৃণমূল প্রার্থী হতে পারেন দীনেশ ত্রিবেদী ও মৌসম নূর। দুজনেই লোকসভা ভোটে হেরেছিলেন। রাজ্যসভায় মেয়াদ শেষ হচ্ছে মণীশ গুপ্ত, যোগেন চৌধুরী, আহমেদ হাসান ইমরান ও কেডি সিংয়ের।
চারটি সিট সহজেই জিতবে তৃণমূল। পঞ্চম আসনে কি হবে তা নিয়ে আছে কৌতুহল। বর্তমানে ওই আসন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দখলে। সিপিআইএমের টিকিটে ২০১৪ সালে রাজ্যসভায় গেলেও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ২০১৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে সিপিআইএম।