করোনা সংক্রমণের জন্য সেয়ানে সেয়ানে বেঁধে গেল সরকার আর বিরোধীর। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন লকডাউন না মানায় বিরোধী দলের নেতাদের দিকে আঙুল তোলেন, পালটা খড়গপুরে করোনা ছড়ানোর জন্য সরাসরি তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ’২১ জুলাইয়ের সমাবেশ আগের মতো হবে না। আমরা লকডাউন মানছি। তবে কয়েকটি বিরোধী দলের নেতারা মানছেন না। তারা মিটিং মিছিল করছেন। লকডাউন ভাঙলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। আমি স্যাক্রিফাইস করতে পারলে আপনাদেরও করতে হবে।’
বলা বাহুল্য মমতার নিশানা বিজেপি ও তার নেতাদের দিকে। দিন কয়েক আগেই দাঁতনে নিহত বিজেপি কর্মীর শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ায় দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। তার পরও বুধবার নবান্নের সর্বদল বৈঠকে যোগ দেন দিলীপ।
এদিন খড়্গপুরে করোনা সংক্রমণের জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতারাই খড়্গপুরে করোনা ছড়িয়েছেন। খড়্গপুরকে করোনা হাবে পরিণত করেছেন। ডেপুটি মেয়র তবলিগি জামাত ফেরতদের সঙ্গে দিয়ে গোটা শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তার থেকেই শহরে ছড়িয়েছে করোনা। পাশে মেদিনীপুরে তো করোনা ছড়ায়নি।’
বিজেপির দাবি, লকডাউন ঘোষণার পর ত্রাণ বিলির নামে কারা এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন তা সবাই জানেন। বিজেপির নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলছিলেন। বিজেপি নেতারা রাস্তায় না বেরোনোয় রাজ্যেরই নেতা মন্ত্রীরা তাঁদের কটাক্ষ করেন। এর পর বিজেপি নেতারা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে লকডাউনের নিয়ম দেখিয়ে কোথাও তাদের আটক করা হয়েছে, কোথাও হোম কোয়ারেন্টাইনের নাম করে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বিজেপি নেতাদের। তাহলে কী করে করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী হতে পারে বিজেপি?