হাতে বাকি আর ৬ দিন। তারপরই ধর্মতলায় আগামী ২১ জুলাইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট ‘শহিদ সমাবেশ’। এবার তৃতীয়বার হ্যাট্রিক করে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং শহিদ সমাবেশ বড় আকার নেবে এটা দস্তুর। কিন্তু এই সমাবেশকে সামনে রেখে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যা এককথায় নজিরবিহীন। আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। এমন সরকারি নির্দেশিকা এই প্রথম বলে খবর।
কেন এমন নির্দেশিকা জারি হয়েছে? সূত্রের খবর, এই হাইভোল্টেজ শহিদ সমাবেশে এসে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আবার আসার সময় কারও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নজিরবিহীন ভিড় হবে বলেই আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তবে এই ২১ জুলাইকে ‘শহিদ দিবস’ কথাটি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৭ জুলাই রাজ্য পুলিশের এডিজি (প্রশিক্ষণ) এবং ট্র্যাফিকের অতিরিক্ত দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজি একটি চিঠি পাঠান রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে। সেখানে সরকারি হাসপাতালে ২১ জুলাই উপলক্ষ্যে চিকিৎসা পরিষেবা মজুত রাখতে বলা হয়েছে। তারপরই এই নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের।
তারপর ঠিক কী ঘটল? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ১৩ জুলাই রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা একটি নির্দেশিকা জারি করেন। আর তা পাঠিয়ে দেন সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। সেখানে পুলিশের চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নিকটবর্তী প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়।
ঠিক কী বক্তব্য বিরোধীদের? এই নির্দেশিকা নিয়ে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস আর নবান্ন সমার্থক। কিন্তু এবারই প্রথম এমন ব্যবস্থা রাখতে হচ্ছে কেন?’ রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এটা প্রত্যাশিত ছিল। প্রশাসনের রাজনীতিকরণের নির্লজ্জ উদাহরণ।’ তবে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায় বলেন, ‘প্রত্যেকবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ আগের বারের সমাবেশকে ছাপিয়ে যায়। গত দু’বছর সমাবেশ হয়নি। তাই রেকর্ড ভিড় হবে। এই কারণে আগাম সতর্কতা।’