TMC Meeting Highlights: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া চমক দিল তৃণমূল কংগ্রেস। চালু করা হল ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি। যে কর্মসূচির আওতায় তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকরা আমজনতার বাড়িতে যাবেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, যেভাবে আবাস যোজনা, চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতির দায়ে জর্জরিত তৃণমূল, তা থেকে কিছুটা ভাবমূর্তি ফেরাতে নয়া কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। তবে তা তৃণমূলের ‘কবচ’ হবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে।
‘আমি কী পাব, সেটা না ভেবে কাজ করতে হবে’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামিদিনে অনেক কাজ আসব। আমি কী পাব, সেটা না ভেবে কাজ করতে হবে।
‘আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। বাজেট অধিবেশনে সব বিধায়ককে হাজির থাকতে হবে। শনিবার এবং রবিবার দলকে সময় দিতে হবে।
'ছবির প্রদর্শনী করে এক-এক সেকেন্ডে ৬-৭ কোটি টাকা তুলতে পারি'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি ছবির প্রদর্শনী করে এক-এক সেকেন্ডে ছয়-সাত কোটি টাকা তুলে নিতে পারি। কিন্তু আমি তো করি না। মাঝে পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে আমায় করতে হয়েছিল। কারণ পার্টির লড়াইয়ে ক্ষমতা ছিল না। আমি আমার সৃষ্টি কীভাবে ব্যবহার করব, সেটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
কোনও ভাতা নেন না, দাবি মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: চুরি কেন আমায় করতে হবে? আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম। এক লাখ টাকার বেশি পেনশন হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দেড় লাখ টাকা পেতে পারি। কিন্তু আমি কিছু নিই না।
'এই জীবনটা কিছু করে যাওয়ার জন্য', বললেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এই পৃথিবী কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়। এই জীবনটা কিছু করে যাওয়ার জন্য। যাতে আগামী জীবনে ভালো জায়গায় জন্ম হতে পারে। কিছু ভালো কাজ করে গেলে মানুষের মনে থেকে যাওয়া।
'কখনও ডিরেক্ট BJP করিনি আমরা', কংগ্রেস-বামকে আক্রমণ মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা কেউ কখনও কোনওদিন ডিরেক্ট বিজেপি করিনি। কারণ ওই দলের আদর্শ মানতে পারিনি। একাকীত্ব বলে না। ওদের মতাদর্শও একাকীত্বের মতো। আমরা খাব, আর কেউ খাব না, এটা হয় না। আমি একটা ধর্ম পালন করব, অন্য ধর্মকে মানব না। সেটা হয় না।
‘শুধুমাত্র পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এই কর্মসূচি নয়’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: শুধুমাত্র পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এই কর্মসূচি করা হলে শুধু ৩,৩৪৩ পঞ্চায়েতে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি পালন করা হত। কিন্তু রাজ্যের সর্বত্র সেই কর্মসূচি হচ্ছে।
‘১০ জানুয়ারি থেকে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: ১০ জানুয়ারি থেকে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি শুরু হবে।
'ইওর চাকরি উইল গো', পঞ্চায়েত স্তরে নজরদারি নিয়ে বার্তা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কিছুটা নজরদারি তো থাকতেই হবে। আপনার যে ম্যানেজমেন্ট আছে, তা আপনার উপর নজরদারি চালায় না? আপনি ঠিক করে কাজ করছেন কি করছেন না, সেটার উপর নজর রাখে না? আপনি যদি একটা অনুষ্ঠানে যেতে না পারেন, তখন আপনার চাকরি চলে যাবে (ইওর চাকরি উইল গো)।
পঞ্চায়তকে কৈফিয়ৎ দিতে হয় না, মানুষের কাছে আমায় কৈফিয়ৎ দিতে হয়: মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা আগে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যেত। এখন সরাসরি যায়। তাই নজরদারি রাখার কাজটা কঠিন। কিন্তু রাজ্য সরকার সেটা করছে। তাই বিডিও ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ডাকা হয়। দেখে রাখতে হবে যে এখানে কী কাজ হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না, সেটা জানতে হবে। কৈফিয়ৎ তো পঞ্চায়েতকে দিতে হবে না। মানুষের কাছে আমায় কৈয়িফৎ দিতে হবে।
'আমাদের টাকায় ৪৮ লাখ কর্মদিবস তৈরি'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না। তারপরও আমাদের থেকে ২,০০০ কোটি টাকার বেশি ৪৮ লাখ কর্মদিবস তৈরি করা হয়েছে।
'পোকা ধান'-দের বার্তা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: একটা পোকা ধান যদি কোনও জন্মায়, তাহলে আগেই পোকা নির্মূল করতে হবে।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মার্চে বছর শেষ হয়। আবাস যোজনার টাকা পাঠাচ্ছে ডিসেম্বরে। কীভাবে ওই সময়ের মধ্যে টেন্ডার ঢেকে কাজ হবে? এটা আমাদের ব্যর্থ হিসেবে দেখানোর একটা চেষ্টা। এটা অসহযোগিতা। আমার অসহযোগিতা চাই না, আমরা সহযোগিতা চাই।
‘আমরা ঐক্যবদ্ধ ভারত চাই’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা ঐক্যবদ্ধ ভারত চাই। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মজবুত করতে হবে। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের পক্ষে আমরা।
'রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে এ রাজ্যে অভাবনীয় কুকথা হয়'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে এই রাজ্যে যে কুকথা বলা হয়, তা দেশের অন্য কোথাও হয় না।
‘দুয়ারে সরকারের অপর একটা রূপ হল দিদির সুরক্ষাকবচ’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: দুয়ার সরকারের মতো মানুষের দরজায় পৌঁছাবে তৃণমূল কংগ্রেস। দুয়ারে সরকারের অপর একটা রূপ হল দিদির সুরক্ষাকবচ।
‘তৃণমূলের দায়বদ্ধতা আরও বাড়বে’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা যত এগোব, তত তৃণমূলের দায়বদ্ধতা বাড়বে।
'এক-দুটো ঘটনা নিয়ে হইচই হচ্ছে'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলায় ১০ কোটির বেশি মানুষ। উন্নয়নের কাজের দিকে নজর না দিয়ে একটা-দুটো ঘটনা নিয়ে মিডিয়া হইচই করছে। একটা-দুটো ঘটনাও কাম্য নয়।
'বিরোধী হিসেবে TMC কখনও ধ্বংসাত্মক কাজ করেনি’, বললেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আজ আমরা যখন বিরোধী ছিলাম, তখন কোনও ধ্বংসাত্মক কাজ করিনি। সবসময় গঠনমূলক কাজ করিনি। সরকারে থাকলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। আমরা বিরোধী দলে থাকার সময় যেভাবে সংগ্রাম করতাম, এখনও সেভাবে করে যাচ্ছি। কারণ কয়েকটি বিরোধী দল হাঙ্গামা করছে।
'৩৫০ তৃণমূল নেতা গ্রামে-গ্রামে রাত্রিবাস করবেন'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: এটা ৩৫০ জন তৃণমূল নেতা গ্রামে-গ্রামে রাত্রিবাস করবেন। ১৫ টি সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা সবাই পাচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে নজরদারি চালানো হবে।
‘দিদির সুরক্ষাকবচ নামটা আমার দেওয়া নয়’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: দিদির সুরক্ষাকবচ নামটা আমার দেওয়া নয়। তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেল সেই নাম দিয়েছে।
দুর্নীতি রুখতে তৃণমূলের নয়া পদক্ষেপ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রকৃত উপভোক্তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন কিনা, তা দেখা হবে।
১০ কোটি মানুষের বাড়িতে যাবেন তৃণমূলের কর্মীরা: অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: সেই কর্মসূচির আওতায় আগামী দু'মাস তৃণমূলের সাড়ে ৩.৫ লাখ কর্মী ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন। রাজ্যস্তরের নেতারা সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনবেন। তারপর তৃণমূলের দূতরা পৌঁছে যাবেন। জানতে চাইবেন যে সমস্যার সুরাহা হয়েছে কিনা।
'দিদির সুরক্ষাকবচ' পঞ্চায়েত ভোটের আগে ৬০ দিনের কর্মসূচি তৃণমূলের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: আগামী ৬০ দিন ধরে বুথস্তরে কর্মসূচি চলবে। আগামিদিনের দিক নির্দেশিকা করবেন মমতা। সেই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে - 'দিদির সুরক্ষাকবচ'।
নজরুল মঞ্চে এলেন মমতা
নজরুল মঞ্চে এসে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী বার্তা দেবেন তিনি, সেদিকেই নজর আছে সকলের।
মমতা কী বলবেন? ইঙ্গিত অভিষেকের
রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া ভবনের পর ভিতপুজোর পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দেন, কীভাবে আগামিদিনে তৃণমূল চলবে, তা নিয়ে নির্দেশ দেবেন মমতা।
দুর্নীতি কাঁটায় বিদ্ধ দল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সারপ্রাইজ মমতার?
চাকরি থেকে আবাস যোজনা দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে কর্মী সম্মেলন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা, আগামিদিনে কীভাবে তৃণমূল এগিয়ে যাবে, কী কৌশল হবে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে বড় কোনও ঘোষণা করতে পারেন মমতা। সেইসঙ্গে বড় কোনও ‘সারপ্রাইজ’-র অপেক্ষায় আছেন তৃণমূল কর্মীরা।