রাজ্য সফরে এসে কয়লা মাফিয়ার হোটেলে উঠলেন কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এমনকী সেই হোটেলে রাত্রিবাস থেকে ইসিএলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেছেন তিনি। বুধবার দু’দিনের সরকারি সফরে দুর্গাপুর এসেছেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। অবৈধ কয়লা কারবারের বেতাজ বাদশা রাজু ঝাঁয়ের বিলাসবহুল হোটেলে তিনি ওঠেন বলে অভিযোগ। সেখানেই বুধবার সন্ধ্যায় ইসিএলের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে রিভিউ মিটিং করেন। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে কড়া আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বালিগঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
কে এই রাজু ঝাঁ? সূত্রের খবর, গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে শিল্পাঞ্চলে অবৈধ কয়লা কারবারের বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠে রাজু ঝাঁ। বাম জমানা থেকে এখনও পর্যন্ত রাজু একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। এখনও তার নামে অসংখ্য মামলা ঝুলছে। রাজু ঝাঁয়ের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠতা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই। এমনকী একাধিকবার বিজেপির প্রচারে তাকে দেখা গিয়েছিল। শিল্পাঞ্চলে ইসিএল এবং সেইলের একাধিক বিলাসবহুল অতিথি নিবাস থাকতেও কেন সেই কুখ্যাত মাফিয়ার হোটেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উঠলেন? প্রশ্ন উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন বাবুল সুপ্রিয়? আজ, শুক্রবার এই নিয়ে একটি টুইট করেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি টুইটারে ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সম্মানীয় কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীজির পাশে যিনি দাঁড়িয়ে রয়েছে সে আসানসোলের একজন বিখ্যাত কয়লা মাফিয়া। তার পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। আর তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন সুব্রত মিশ্র। যিনি ঘুষ দিয়েছিলেন বিজেপির বড় মাথাদের কুলটি থেকে টিকিট পাওয়ার জন্য।’
আর বিজেপির সাফাই কী? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপি রাজ্য সম্পাদক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, ‘মন্ত্রীর সফরটি সম্পূর্ণ সরকারি সফর। কেন তিনি ওই হোটেলে উঠলেন? তা কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকই বলতে পারবে।’ যদিও বাবুল সুপ্রিয় খোঁচা দিয়ে টুইটে লিখেছেন, ‘বিজেপিতে থাকতে এরাই আমার বন্ধু ছিল। এদের ক্ষেত্রে তল্লাশি হয় না। আমার কাছে এখনও অভিযোগের ফাইল আছে সুব্রত মিশ্র ইসিএল কর্তাদের ব্ল্যাকমেল করেছে।’