রাজ্যের পুলিশকে নেতার পা ধরাবেন বলে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ সেই নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। আর তাতেই তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন সুতাহাটার শিক্ষক কমলেশ চক্রবর্তী। সুতাহাটা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সত্যব্রত দাসকে। গ্রেফতার করে সত্যব্রতকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই হুমকির বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন ফিরহাদ হাকিম।
ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? সত্যব্রত দাসের গ্রেফতারের পরই পুলিশের বিরুদ্ধে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘শুনে রাখুন পুলিশ বাবারা। আমি কাউকে সমর্থন করছি না। যে হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসকে চড় মেরেছেন। সেই দুটি হাত দিয়ে সত্যব্রত দাসের পা ধরাতে যদি না পারি, তাহলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী নয়। একথা বলে রাখলাম।’
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ হাকিম? এবার শুভেন্দুর মন্তব্যেরই পাল্টা দিতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের যে বাবা যে নাম রেখেছে সেই নাম পাল্টাতে হবে। খারাপ লাগছে। শুভেন্দুর নামটা আমাদের কাছে পরিচিত। শুভেন্দু নামটা আমরা অনেকদিন ধরে জানি। আবার নতুন নাম হলে সেই নামে ডাকতে হবে। কারণ সেই নাম পাল্টাতে হবে।’
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই সত্যব্রত দাস। সেটা এভাবেই তিনি নিজের বক্তব্য থেকে প্রমাণ দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, কমলেশ চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তির মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জনপ্রিয়, পরোপকারী প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসকে গ্রেফতার করেছে। আর অভিযোগ উঠেছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ এবং ঘাটাল পুরসভা এলাকার কাজে ভুয়ো নথি পেশ করে তাঁর সংস্থার নামে ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার ক্রেডেনসিয়াল তৈরি করেছেন এই সত্যব্রত দাস। এই মামলারই তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন করে জেলা পুলিশ। যার জেরে প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।