কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফলে সবুজ ঝড় দেখা গিয়েছে। বিজেপি এখন পুরসভায় বিরোধী দল হতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ তাদের থেকে বামেরা বেশি আসনে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। এই পরিস্থিতিতে একদা সহকর্মী শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিলেন জয়ী প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। কারণ এখন তিনি বিজেপির বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ? নির্বাচনে জয়ের পর সংবাদমাধ্যমে এদিন তাঁর বার্তা, ‘অতিমাত্রায় বিজেপি। কমিউনাল টু দি পাওয়ার ইনফিনিটিতে চলে গিয়েছে। কষ্ট হতো। নিজে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছে। আর আমাকে আক্রমণ করেছে। বাংলার মানুষ বিভেদের রাজনীতি পছন্দ করেন না। তাই এই ধরনের রাজনীতি করা উচিত নয়। আমি ভারতের সন্তান। আমি মরবও ভারতে।’
কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফলে সবুজ ঝড় দেখা গিয়েছে। বিজেপি এখন পুরসভায় বিরোধী দল হতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ তাদের থেকে বামেরা বেশি আসনে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। এই পরিস্থিতিতে একদা সহকর্মী শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিলেন জয়ী প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। কারণ এখন তিনি বিজেপির বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ? নির্বাচনে জয়ের পর সংবাদমাধ্যমে এদিন তাঁর বার্তা, ‘অতিমাত্রায় বিজেপি। কমিউনাল টু দি পাওয়ার ইনফিনিটিতে চলে গিয়েছে। কষ্ট হতো। নিজে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছে। আর আমাকে আক্রমণ করেছে। বাংলার মানুষ বিভেদের রাজনীতি পছন্দ করেন না। তাই এই ধরনের রাজনীতি করা উচিত নয়। আমি ভারতের সন্তান। আমি মরবও ভারতে।’|#+|
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম–সহ পূর্ব দলকে নানাভাবে আক্রমণ করেছিলেন। হিন্দু–মুসলিম বিভাজনের কথা বলেছিলেন। যার প্রেক্ষিতেই ফিরহাদ আজ তাঁকে বার্তা দিলেন। শুভেন্দু আক্রমণ করেছিলেন, কখনও মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী বলে, কখনও আবার তাঁর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই নিয়েই সংবাদমাধ্যমে অভিমানী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কষ্ট হত। আর এমন একজন বলতেন, যার সঙ্গে ছোটবেলা থেকে সম্পর্ক। তার মুখ থেকে যখন শুনতাম, তখন মনে হতো ছোটবেলার সম্পর্ক বলে কিছুই নেই। যার বাড়িতে গিয়েছি, সে আমার বাড়িতে এসেছে। এত ভালো সম্পর্ক! শুধু রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছে বলে এমন অপমান করবে?’
এই আক্রমণে কতটা কষ্ট পেতেন? জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘নিজের দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দেশকে ভালোবাসি। দেশ আমার মা। সেই মা–কে নিয়ে প্রশ্ন তুললে, তার থেকে বড় অপমান কিছু হয় না। আমি আমার মাকে ভালোবাসি। শুধুমাত্র অন্য ধর্মে জন্মেছি বলে পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে! এটা অত্যন্ত অপমানজনক। ভীষণ গায়ে লাগে। সেই রায়টা কলকাতার মানুষ দিয়েছে। আমাকে জবাব দিতে হয়নি।’