রবিবার দিনটাকে ওয়ার্ম–আপ হিসাবে বেছে নিয়েছে যুযুধান প্রতিপক্ষ। ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে এক ইঞ্চি জায়গা কেউ কাকে ছাড়ছে না। আর তাতেই সরগরম হয়ে উঠেছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি এখানে যেন যুদ্ধে নেমেছে। একুশের নির্বাচনে বিজেপির হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনতে তাঁরা মরিয়া। আর তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়ে এনে মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত করা। তাই সকাল থেকেই নির্বাচনী প্রচারে নামেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘ভবানীপুরে কোনও কারচুপি করার ক্ষমতা রাজ্য বিজেপির নেই। এই কেন্দ্রে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিলে ‘পা ভেঙে’ দেবে মানুষ।’
এদিন আত্মবিশ্বাসী পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি যাওয়ার দরকার নেই। তবু গণতন্ত্রের নিয়মে প্রত্যেকের কাছে যাচ্ছি। ভবানীপুরে কোনও ধরনের রিগিং করা যাবে না। নন্দীগ্রামে যেভাবে রিগিং হয়েছে ভবানীপুরে তা করতে পারবেন না দিলীপ ঘোষরা। তা সে যত বড় মস্তানই হোক, মেদিনীপুরের হোক বা ব্যারাকপুরের হোক। ভবানীপুরের মানুষ তার পা ভেঙে দেবে।’ অর্থাৎ ভবানীপুরের বিজেপি পর্যবেক্ষক অর্জুন সিং এবং মেদিনীপুরের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে মস্তান বললেন তিনি।
তারপরই দেখা গেল ফিরহাদকে পাল্টা জবাব দিলেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। ওরা গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে। ফিরহাদ তো সরাসরি আল–কায়দার লোক। ওর কাছ থেকে এর থেকে বেশি আর কী আশা করা যায়! তাই পা ভেঙে দিক, হাত ভেঙে দিক, খুন করে দিক, আমরাও তৈরি আছি।’ অর্থাৎ তিনি পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন মন্ত্রীকে বলে মনে করা হচ্ছে।