রবীন্দ্রজয়ন্তী রাজনৈতিক তৎপরতা দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি মধ্যে। পৃথক কর্মসূচি জোড়াসাঁকোয় পালন করতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং দিলীপ ঘোষকে। আর এই নিয়ে ফিরহাদ–দিলীপ পরস্পরকে কটাক্ষ করেছেন। এমনকী এই পরস্পরের খোঁচায় রবীন্দ্রজয়ন্তীও রাজনীতির ইস্যু হয়ে দাঁড়াল। যা দেখল বাংলা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র সদন সংলগ্ন ক্যাথিড্রাল রোডে ‘কবি প্রণামে’র আয়োজন করা হয়েছিল। আবার মুরলীধর সেন লেনের বিজেপির রাজ্য পার্টি অফিসে পালিত হল রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। এমনকী জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেও দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি দু’পক্ষকেই! সকালে ঠাকুরবাড়িতে যান ফিরহাদ হাকিম! তারপরই ঠাকুরবাড়িতে হাজির হন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন পরিবহণমন্ত্রী? কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সবাই আসুক, প্রণাম জানাক। আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বাস করুক। হিন্দিকে সারা ভারতবর্ষের না বলে যদি নিজেদের ভুল শোধরায়, তাহলে ভগবান ওদের ক্ষমা করুক। ওরা কী করেছিল, ওরা নিজেরাই জানে না।’ ফিরহাদের এই মন্তব্য বিজেপিকে দুষেই তা বুঝতে কারও অসুবিধা হচ্ছে না।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই মন্তব্যের পাল্টা হিসাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা চোখ বন্ধ করে রাখে, তাঁরা যখন চোখ খোলে ভাবে তখনই সকাল। রবীন্দ্রনাথ সবার হৃদয়ে আছে। আমরা আগেও করেছি, আগে ভাল করে জানুন।’ এই পারস্পরিক খোঁচা অব্যাহত রইল রবীন্দ্র জয়ন্তীতেও।