শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে রেশন পরিষেবা। আর তার আগেই শহরের রাস্তায় নামলেন স্বয়ং খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। আর নেমেই হানা দিলেন জোড়াসাঁকো এলাকায়। সেখানের দুটি রেশন ডিলারের দোকানে হানা দেন তিনি। প্রথম দোকানটি হল— ৪/সি রামতনু বোস লেনের রতন কুমার গুপ্তার রেশন দোকান। সেখানে গিয়ে চালান পত্র খতিয়ে দেখেন। দোকানের ভেতরে কিছু খাদ্য শস্য পড়ে থাকাতে তিনি বেশ ক্ষুব্ধ হন। সতর্ক করেন রেশন ডিলারকে।
এখানেই শেষ নয়, তিনি পায়ে হেঁটে যান ৬৩/এ তারক প্রামানিক রোডে। এখানে দ্বিতীয় রেশন দোকানটি হল— রেশন ডিলার সাধন পালের। সেখানে গিয়ে মজুতের হিসাব মেলাতেই, কপালে চোখ উঠে যায় মন্ত্রী ও খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের। স্টক মেলাতেই দেখা যায় সেখানে ২৭৭ বস্তা চাল গম থাকার কথা। সেখানে পড়ে রয়েছে ১২০ বস্তা চাল এবং ১৫৭ বস্তা গম!
তখন প্রশ্ন করা হয়, বাকি খাদ্যশস্য কোথায়? দোকানের ম্যানেজার জানান, এমআর ডিস্ট্রিবিউটর অনলাইন চালান করে দিয়েছেন। কিন্তু মাল পাঠায়নি। তখন জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, এমআর ডিস্ট্রিবিউটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কলকাতায় রেশনে আবার ঘুঘুর বাসা বেঁধেছে? এলাকার মানুষজন তখন অভিযোগ জানান, রেশনের মাল থাকলেও অনেককে দিতে চাননা রেশন ডিলাররা। এই রেশন ডিলাররা, মাল কিছুটা কিনে, এম আর ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে বিক্রি করে দেন। ওই ডিস্ট্রিবিউটররা অবৈধভাবে কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে দেয় রেশনের জিনিস। তারপর মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি কাগজপত্রে সই করিয়ে চাল, গমের মজুত বস্তা মিলিয়ে বেরিয়ে যান এবং বলেন তদন্ত চলবে।
এরপর মন্ত্রী তারক প্রামানিক রোডের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। রেশন দোকান থেকে আরম্ভ করে খাদ্য সামগ্রী সবাই পাচ্চেন কিনা তার খোঁজ নেন। রেশনে খাদ্য সামগ্রী না দেওয়া। নিম্ন মানের খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেন। মন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায় আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’