ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা মানিকলতার বিধায়কর সাধন পান্ডেকে শো-কজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন তাঁর আচরণ দলের শৃঙ্খলাবিরোধী বলে বিবেচনা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে শো-কজের চিঠিতে।
গত মঙ্গলবার আমফান মোকাবিলা নিয়ে কলকাতার মুখ্য প্রশসাক তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন সাধনবাবু। বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা মন্ত্রীর মন্তব্যে শোরগোল পড়ে তৃণমূলের অন্দরেই। কেন প্রকাশ্যে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন তা জানতে চেয়ে বুধবার সাধনবাবুকে শো-কজ করেন তৃণমূলের উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শো-কজের চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, ফিরহাদের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও বক্তব্য থাকলে তা তিনি দলের ভিতরে জানাতে পারতেন, কিন্তু সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে গেলেন কেন? কেন তাঁর এই আচররণকে শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে ধরা হবে না?
গত মঙ্গলবার মানিকতলা চত্বরে আমফানে ভেঙে পড়া গাছ কাটতে বেরিয়ে সাধনবাবু ফিরহাদ হাকিমকে তুলোধোনা করেন। বলেন, ‘আমফান মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুত ছিল না কলকাতা পুরসভা। ১৪০টি ওয়ার্ডের জন্য মাত্র ২৫টা গাছ কাটার মেশিন কেন থাকবে? প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে গাছ কাটার মেশিন থাকা উচিত ছিল।’
এমনকী আমফানের আগে ফিরহাদ হাকিম কলকাতার বিধায়কদের সঙ্গে কোনও বৈঠক করেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলে তাঁরা তাঁদের মত জানাতে পারতেন। সেক্ষেত্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও মত পাওয়া যেত।’ তৃণমূলে বিধায়কদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সাধানবাবুর বক্তব্য শুনে অনেকের অনুমান, বিজেপিতে ছক করছেন তিনি। একই সঙ্গে মুসলিম পুর মন্ত্রীর বিরোধিতা ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শোভনের নাম করে সেই রাস্তা তৈরি করছেন তিনি। এখন সাধনবাবু শো-কজের কী জবাব দেন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।