বামফ্রন্ট জমানাতেও আওয়াজ উঠেছিল রাজ্যপাল পদের অবলুপ্তির। এবার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলেও একই সুর শোনা গেল। আর এই সুর শোনা গিয়েছে সদ্য পরিষদীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া প্রবীণ বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিয়মতান্ত্রিক প্রধান এবং ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি। রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের মেয়াদে রাজ্যপাল নিয়োগ করেন। এবার বাংলা থেকে এই পদ তুলে দেওয়ার দাবি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী।
ঠিক কী বলেছেন শোভনদেব? আজ, সোমবার বিধানসভায় খড়দহের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপালের জন্য প্রচুর খরচ হয়। বাংলা থেকে এই পদ তুলে দেওয়া হোক। তার পরিবর্তে এই ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির হাতে তুলে দেওয়া উচিত। রাজ্যপালের দায়িত্ব আইন দেখা, একজন প্রধান বিচারপতির থেকে উত্তম প্রতিনিধি এই দায়িত্ব পালনের জন্য কেউ হতে পারেন না।’
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ বিধায়ককে কটাক্ষ করে বলেন, ‘প্রথম থেকেই উনি বামপন্থী তৃণমূল ছিলেন। এখন তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তা প্রকাশ পাচ্ছে। সিপিআইএম দলীয়ভাবে রাজ্যপাল পদের অবলুপ্তি চায় এই কথা রাজনীতিতে সকলের জানা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কখনও এভাবে রাজ্যপাল পদের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেনি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে। কিন্তু উনি রাজ্যের মন্ত্রী এবং একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সেখান থেকে ওনার মতো একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য অনভিপ্রেত।’
সিপিআইএমের বক্তব্য ঠিক কী? এই বিষয়ে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি। সিপিআইএম বরাবরই প্রশ্ন তুলে এসেছে রাজ্যপাল পদটা কি প্রয়োজনীয়? কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বা অন্য কোনও দল এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বামপন্থীরা যা বলত এখন তাঁরা তা বলছে, আগে কেন বলত না।’ আপাতত বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গনেশন।