আজ, শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে একটি খবর। সেটা হল, গুজরাত বাদ দিয়ে সমস্ত রাজ্যে আমুল দুধের দাম ২ টাকা করে বাড়ছে। ফলে এখন বাংলার সাধারণ মানুষকে ভরসা করতে হচ্ছে বাংলা ডেয়ারির সুলভে খাঁটি দুধের উপর। তার মধ্যে আবার জানা গিয়েছে, এবার ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চলেছে বাংলা। ফলে বাইরের উপর আর নির্ভর করতে হবে না। বরং সস্তায় বাংলার মানুষ ডিম খেতে পারবেন। এখন দুধ খেতে পারছেন বাংলা ডেয়ারির দৌলতে।
রাজ্যে ডিমের উৎপাদনের অবস্থা কেমন? এই রাজ্যে বছরে মোট ডিমের চাহিদা ১ হাজার ৪৪০ কোটি। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মোট ১ হাজার ২০৩ কোটি ডিম উৎপাদন হচ্ছে। সুতরাং প্রত্যেক বছর বাইরের রাজ্য থেকে ২৩৭ কোটি ডিম আমদানি করতে হচ্ছে। তবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আমদানির পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রীমশাই? বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এখন এই রাজ্যে যে ডিম উৎপাদিত হয়, তার সিংহভাগই আসে অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে। বছরে ৬৩১ কোটি ডিম আসে সেখান থেকেই। প্রয়োজনের নিরিখে তা ৪৩.৮২ শতাংশ। বাকিটা আসে বেসরকারি ফার্ম এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন থেকে। তবে আগামী এক বছরে রাজ্যের ছবিটাই পাল্টে যাবে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে ডিমের উৎপাদন বছরে ৭২৭ কোটিতে পৌঁছবে। সরকারি ডিমের উৎপাদনও ৬.২৮ কোটি থেকে বেড়ে হবে ৪৭ কোটি। সংগঠিত ক্ষেত্রেও তা প্রায় ৫০ লক্ষ বাড়বে। এতে আমাদের দক্ষিণ ভারতের উপর নির্ভরতা আর থাকবে না।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বিষয়ে পোলট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি বলেন, ‘মুরগির মাংস উৎপাদনে আমরা ইতিমধ্যেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। রাজ্যের চাহিদা মিটিয়ে তা যাচ্ছে বিহার এবং ওড়িশার কিছু অংশে। আর উত্তর–পূর্বের রাজ্যগুলিতেও তা যাচ্ছে। ডিমের উৎপাদন যে স্তরে পৌঁছতে চলেছে, তাতে রাজ্যের চাহিদা মিটিয়ে উত্তর–পূর্ব ভারতেও পাঠানো যাবে।’