মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলতে বলেছিলেন। তাই আজ, মঙ্গলবার টেলিফোন করে কথা বললেন তিনি। প্রেক্ষাপটটি তৈরি হয়েছিল বিধানসভায়। সেটাই বাস্তবে ঘটল। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় টেলিফোন করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। গঙ্গার ভাঙন, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান, ১০০ দিনের কাজের টাকা–সহ নানা বকেয়ার দাবিতে নয়াদিল্লিতে মোদীর দরবারে যাওয়ার কথা বাংলার বিধায়কদের। তাই শাসক–বিরোধী বিধায়কদের এক বিশেষ প্রতিনিধিদল তৈরি করা হয়েছে। সেটা নিয়েই আলোচনা করতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করলেন পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ঠিক কী কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে? সূত্রের খবর, বিজেপির কোন কোন বিধায়ক নয়াদিল্লি যাবেন সেটা জানতেই টেলিফোন করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। রাজ্যের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই কাজ করেছেন পরিষদীয়মন্ত্রী। তবে বিরোধী দলনেতা এই বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানাতে পারেননি। আর একটু সময় চাওয়া হয়েছে। সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলে বিজেপিকে পাশে পেতে বার্তা দিয়েছেন শোভনদেব। বিধানসভায় সে প্রস্তাব সমর্থন করেছিল বিজেপি। আজ কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরের টেলিফোন তিনিই করবেন বলে জানিয়েছেন।
ঠিক কী হয়েছিল বিধানসভায়? বিরোধী দলনেতার উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাজ্যের স্বার্থে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারপর বিধানসভায় সরকারিভাবে এই প্রস্তাব আনে শাসকদল। সেই আলোচনায় অংশ নেয় বিজেপি–আইএসএফ। তাতে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয় নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হবে বিধানসভা থেকে। তখন বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা জানান, তারা নীতিগতভাবে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। তবে প্রতিনিধি দলের বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হবে। বিধানসভায় মোট ৯ জনের প্রতিনিধিদল তৈরি করা হয়। পাঁচজন শাসকদলের, চারজন বিরোধী দলের প্রতিনিধি।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বকেয়া আদায়ের কাজে গতি বাড়াতে তৎপর হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির পক্ষ থেকে চারজনের নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা। তাঁরা কারা? এই নামগুলি জানতে শুভেন্দুকে ফোন করেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শুভেন্দু তাঁর কাছে বিধানসভার বক্তব্যের খসড়া চেয়েছেন। খসড়া পেলেই তাঁরা ঠিক করবেন কে কে নয়াদিল্লি যাবেন। তবে শোভনদেব তাঁকে জানান, খসড়া প্রস্তুত করে তাঁকে পাঠানো হবে।