পশ্চিমবঙ্গে শাসকদলের অন্দরে ভাঙন অব্যাহত। শুক্রবার শিলভদ্র দত্তর পরপরই তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিলেন দলের সংখ্যালঘু মুখ কবিরুল ইসলাম। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর অনুযায়ী, এদিন দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক কবিরুল। ইতিমধ্যেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরবারই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন কবিরুল ইসলাম। শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর বিজেপি–তে যোগ দেওয়া নিশ্চিত বলা যায়। এমন সময় নিজেও তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কবিরুল ইসলাম। দল ছেড়ে কবিরুল এদিন বলেছেন, ‘আগামী দিনে আমি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকব। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই সিদ্ধান্তকে পাথেয় করে চলব। আমাদের মতো যুব সমাজেরই কাঁধেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব।’
একইসঙ্গে এদিন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামকে চিঠি দিয়ে সেলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে নিজের ইস্তফার কথা জানিয়েছেন কবিরুল ইসলাম। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তিনি ফেসবুক আগে একটি ইঙ্গিতবাহী পোস্টে লিখেছিলেন, ‘একজনের হাসি আর একজনের অহংকার। কিন্তু আগামীদিনে হাসি জিতবে।’ গেরুয়া রঙের একটি ছবির ওপর পোস্টে কবিরুল লিখেছিলেন, ‘ঝড় আসছে।’
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তেই সেই পথেই এগোচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা৷ যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই গণইস্তফা নিয়ে ভাবছেন না। এই পরিস্থিতিতে এদিন বিকেলে কালীঘাটে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দলের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে।