ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ফরমান জারি করেছে। তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রেল বোর্ডকে। তার জেরে এখনই উদ্বোধন হচ্ছে না শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন। এই শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন প্রস্তুত থাকলেও কেন উদ্বোধন করতে টালবাহানা করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন এবার তুলেছেন স্বয়ং প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
ঠিক কী বলেছেন বালিগঞ্জের বিধায়ক? এই শিয়ালদহ মেট্রো নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই উদ্বোধন করুন। এই নিয়ে যেন রাজনীতি না করা হয়। যাত্রী সাধারণের সুবিধার কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে শিয়ালদহ মেট্রো চালু করা হোক। আমি কোনও কম রাজনীতির রং না দেখেই মেট্রোর কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় তার জন্যই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছিলাম।’
আগে ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, অতীতে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের সমস্যায় এগিয়ে আসতেন বাবুল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও জট কাটাতে আলোচনার টেবিলে বসেছেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মেট্রোর কাজে গতি আনতে তিনি রাজনীতির রং ভুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ও ঝালমুড়ি খেয়েছেন।
উল্লেখ্য, মার্চ মাসে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি এসে পরিদর্শনও করে গিয়েছেন স্টেশন। এমনকী যাত্রী পরিবহণের জন্য শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন চালুর অনুমতি দেয় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। এই প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘সবক্ষেত্রেই রাজনীতি ঠিক নয়। বাংলার প্রাপ্য বকেয়া মেটানো হোক। আর বিজেপি যদি ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন উদ্বোধন করিয়ে তারা রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে। তবে তাই হোক। কিন্তু অবিলম্বে মানুষের স্বার্থে উদ্বোধনটা হোক। বাংলার মানুষ যে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন তা ফের আগামী দিনই বুঝিয়ে দেবে।’