গতকাল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূলের আদিবাসী বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা। তিনি দাবি করেছেন, ‘মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছে বিজেপি।’ উল্লেখ্য, আদিবাসী আবেগকে কাজে লাগাতে এবার এনডিএ আদিবাসী মহিলা দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। যা বিজেপির সুনির্দিষ্ট কৌশল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে বলেই বীরবাহা দাবি করেছেন।
বীরবাহা বলেন, ‘মুর্মু পদবী মানে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ। আমিও সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু, আমার মনে হয় বিজেপি কোথাও একটা ভুল করছে। আমি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে একটা বিষয়ে আপত্তি জানাতে চাই। আমরা ধর্মের জায়গায় সারি ধর্ম লিখি। কিন্তু, বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু সেখানে হিন্দু ধর্ম উল্লেখ করেন। আদিবাসীরা বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীর মারফত প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি জানাতে চাইছেন যে আমাদের সারি ধর্ম যেন মান্যতা পায়। কিন্তু, এই জায়গায় দেশের সর্বোচ্চ পদে যিনি বসতে চলেছেন যিনি আদিবাসী মহিলা অথচ তিনি হিন্দু ধর্ম লেখেন তাহলে আমরা কী দাবি করব! যারা সারি ধর্মর জন্য লড়াই করছে তাদের কাছে আমরা কী জবাব দেব! বিজেপি মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। মানুষ বোকা বানাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এবার রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি আদিবাসী মহিলা দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করেছে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মুর নাম আগে ঘোষণা করা হলে আমরাও ভেবে দেখতাম।’ ফলে স্বাভাবিকভাবেই আদিবাসী ফ্যাক্টরকে কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্র। আর সেই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের আদিবাসী বিধায়কের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।