আজ, সোমবার সারা রাজ্যজুড়ে আওয়াজ তোলা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করতে হবে। কারণ সারদা–নারদ কাণ্ডে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। আর সারদা–কর্তা নিজে মুখে স্বীকার করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন। এমনকী বিচারপতিকে চিঠি লিখে তা জানিয়েছেন। আর এই ইস্যুতে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে থাকবেন নন্দীগ্রামের মা ফিরোজা বিবি।
প্রতিনিধি দলে কারা থাকছেন? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যপালের কাছে এই দাবি নিয়ে যাবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ‘নন্দীগ্রামের মা’ ফিরোজা বিবি। এই ফিরোজা বিবি এখন পাঁশকুড়া পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর পুত্র শেখ ইমদাদুলের। ২০০৮ সালে নন্দীগ্রামে উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রথমবার জিতেছিলেন ফিরোজা বিবি। ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তমলুক লোকসভার সাংসদ পদ থেকে শুভেন্দুকে সরিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসেন। তখন নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দুকে প্রার্থী করা হয়েছিল। ফিরোজা বিবি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পাঁশকুড়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে।
কেন প্রতিনিধি দলে ফিরোজা বিবি? সূত্রের খবর, ফিরোজা বিবিকেই আবার আন্দোলনে নিয়ে আসা হচ্ছে। ‘নন্দীগ্রামের মা’–কেই তুরুপের তাস করা হচ্ছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে আসছেন তিনি। যার নেতৃত্ব দেবেন ব্রাত্য বসু। সঙ্গে থাকবেন তাপস রায়, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজার মতো নেতা–মন্ত্রীরা।
ঠিক কী বলছেন নন্দীগ্রামের মা? ফিরোজা বিবিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব আমি পালন করেছি। ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করি। সেবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলাম। তখন শুভেন্দুবাবু তৃণমূল কংগ্রেসে আসেননি। তৃণমূল কংগ্রেস করতাম বলেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনে আমার ছেলেকে গুলি করে মারা হয়েছিল। আর দল দায়িত্ব দিয়ে শুভেন্দুবাবুকে নন্দীগ্রামে পাঠিয়েছিল। তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু কেউ দলের সঙ্গে বেইমানি করলে তাকে আমি মেনে নিতে পারব না।’