একদিন আগেই রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনিয়েছিলেন তিনি। ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। গেয়েছিলেন, ‘এই আকাশে আমার মুক্তি, আলোয় আলোয়’। রবিবাসরীয় দুপুরে জামিন পাওয়ার আনন্দ সঙ্গে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়া, ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেল মদন মিত্রকে। তাই আজ গাইলেন, ‘ওরে ভাই, ফাগুন লেগেছে বনে–বনে....।’ তবে আজ তাঁর পোশাক ছিল চোখে লাগার মতো। লাল টুকটুকে পাঞ্জাবি, ধুতি, মাস্ক, চোখে সানগ্লাস, হাতে ফোন, হুড খোলা জিপ চালিয়ে এসএসকেএম থেকে বাইবাই বলে বেরিয়ে গেলেন তিনি। এরপরই সংবাদমাধ্যম–ফেসবুক লাইভে নানা গান গাইতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
তবে আজ খানিকটা রোম্যান্টিকও ছিলেন ভবানীপুরের বাসিন্দা তথা কামারহাটির বিধায়ক। তাই তিনি গেয়ে উঠলেন, ‘এত কাছে রয়েছ তুমি, আরও কাছে তোমাকে যে চাই’। তারপরই জোর গলায় বললেন, ‘মদন মুক্ত।’ আর তাঁর দীর্ঘজীবী কামনায় সকালে পুরোহিত এসে পৌঁছন হাসপাতালে। হাসপাতালের দোরগড়ায় পুজো করে বের হলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাকে এই মামলা নিয়ে কিছু বলতে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে এটা নিয়ে আমি কিছু বলব না। কিন্তু আমি তো ফেসবুক লাইভ করতে পারব। আমার একটা ফেসভ্যালু আছে, যতদিন তা থাকবে, ততদিন আমাকে এটা করতেই হবে।’ তবে তিনি জানান, নিজের কেন্দ্র কামারহাটির মানুষের কাছে যাবেন।
হুডখোলা গাড়ি, ফুল নিয়ে নেতাকে ঘরে নিয়ে যেতে এসেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। আর তাতেই আপ্লুত মদন মিত্র। রবিবার অবশ্য একেবারে খোশমেজাজেই পাওয়া গেল তাঁকে। লাল পাঞ্জাবি, পাজামায় শোভিত মদন মিত্র যখন বাইরে এসে দাঁড়ান, তখন তাঁকে ঘিরে অনুরাগীদের উচ্ছ্বাস। স্লোগান ওঠে, মদন মিত্র জিন্দাবাদ। তিনি অবশ্য বলছেন, ‘আমি এদের কাউকে চিনি না। কিন্তু আমার পাশে আপনারা এসে দাঁড়াচ্ছেন তার জন্যই আমি সকলকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’ আর গাইলেন, ‘ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু’।