দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির প্রচারে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন দিদির দূতরা। আর তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সপাটে চড় মারে বিজেপি কর্মীকে। উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে সাগর সাগর বিশ্বাসকে সপাটে চড় কষিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শিবম রায়। যা নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। এবার এই চড় কাণ্ডকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে নতুন তথ্য দিলেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র।
ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক? অশোকনগরে সবলা মেলা উৎসবে এসেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানে তাঁকে চড়কাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক কম করে হলেও ৮ কোটি। তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি করে কমপক্ষে ৫ কোটি। ভলেন্টিয়ার নেমেছে সাড়ে তিন লাখে। তাই এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। খবর নিলে দেখা যাবে যে যাকে চড় মেরেছে, ওদের হয়তো জামাইবাবু ও শালার সম্পর্ক। দু’জনের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনও কারণ থাকতে পারে। এটা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিচার করলে হবে না।’
আর কী বলেছেন তিনি? সাগর বিশ্বাস স্থানীয় মন্দির কমিটির একজন সদস্য। মন্ত্রী আসবেন শুনে কমিটির পক্ষ থেকে মন্দির সংক্রান্ত কয়েকটি কথা বলতে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। মন্দির কমিটির অন্য সদস্যরাও ওখানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও চড়কাণ্ড নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে বিচার করতে হবে জি–২০ দিয়ে, গঙ্গাসাগর মেলা দিয়ে,বাংলার সুরক্ষা কবচ দিয়ে। দিদির সুরক্ষা কবচ হল, বিখ্যাত হিন্দি ছবি শোলের কয়েনের মতো। দু’দিকেই হেড ছিল। এর আগে স্লোগান দেওয়া হতো, গদ্দার সরকার আর নেই দরকার। সিপিএমের লুটেরার সরকার আর নেই দরকার। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, মা বোনেরা বলুক আপনাদের কি দরকার। সেই দাবি মেনেই এই তো দরজায় হাজির দুয়ারে সরকার। পরে আমরা ভাবলাম মানুষের কষ্ট কমাতে হবে। তাই আবার নয়া পদক্ষেপ দিদির। এবার আর ঘর থেকে বের হতে হবে না। ঘরে বসে শুধু অ্যাপটা খুলুন। বিজেপির ভূত নয় দিদির দূত। তাহলেই মুশকিল আসান।’
উল্লেখ্য, শনিবার দিদি সুরক্ষা কবচ নিয়ে দিদির দূত কর্মসূচিতে ইছাপুরে নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তখনই এলাকার খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সাগর বিশ্বাস। সেখানে বক্তব্য পেশের সময়ই মন্ত্রীর সামনে সাগরকে সপাটে চড় মারেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শিবম দাস। যদিও এই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা শিবম।