কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র একদিন আগেই দাবি করেছিলেন, সিপিএম কয়েক কোটি বেকার বাংলায় রেখে চলে গিয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন সিপিএমের জমানায় চাকরি পাননি। তাই আগামী দিনেও পারলে আবার তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেবেন তিনি। এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এবার তার মধ্যেই ‘বদলা’ নেওয়ার সুর শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের গলায়। এখন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
একদিন আগেই ফেসবুক লাইভে নানা অভিযোগকে কমব্যাট করতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেছিলেন, ‘আমাদের বহু ছেলে সিপিএমের ৩৪ বছরে চাকরি পায়নি। কয়েক কোটি বেকার রেখে সিপিএম চলে গিয়েছিল। তা বলে, বেকার কি চিরকাল বেকার থাকবে? নিয়ম মেনে এবং নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায়, যোগ্যতমদের বঞ্চিত না করে যদি তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেওয়া হয়, সেটা অন্যায় নয়। আবার চাকরি দেব।’ আর আজ তিনি প্রতিশোধের উদ্দেশে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন, ‘আগামী পঞ্চায়েত ভোটে বদলা নিতে হবে।’
ঠিক কী বলেছেন মদন? ২০১১ সালে সিপিএমকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। তখন থেকেই তাঁর স্লোগান ছিল ‘বদলা নয়, বদল চাই’। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কার্যত উল্টো কথা শোনা গেল মদন মিত্রর গলায়। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘আগামী ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, ত্রিনাঙ্কুরা থাকবেন। আমরা সবাই থাকব। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লক্ষাধিক মানুষকে নিয়ে শপথ নিতে হবে পঞ্চায়েতে বদলা নেওয়ার। তৃণমূল কর্মীরা শপথ নিন, দলের উপর জুলুমবাজির বদলা নিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। আর পঞ্চায়েতে বদলা নিতে আমরা প্রস্তুত।’
আর কী জানা যাচ্ছে? কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের ডায়লগ শোনা যায় মদন মিত্রের কন্ঠে। তিনিই চড়াম চড়াম ঢাক বাজিয়ে দেবেন বলে জানান। আর কামারহাটির বিধায়ক মদনের গলায় শোনা যায়, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রয়োজন হলে অনুব্রতর বদলে বীরভূমের বর্ডারে দাঁড়িয়ে আমি চড়াম চড়াম ঢাক বাজিয়ে দেব। দলের কৃষ্ণ, দ্রোণাচার্যরা যদি আমাকে অর্জুন হতে বলে তাহলে অর্জুন হব। না বললে মৃত সৈনিকের ভূমিকায় অভিনয় করব। আমি পালা গান গাই। আমাকে যখন যে পালা গান গাইতে বলা হয় আমি সেই পালাগানই গাই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup