আগেই বোঝা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর সিদ্ধান্তে সুবিধা হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার হলোও তাই। আজই শুনানি ছিল বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে। ইস্যু—মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ। আবার মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার প্রতিবাদে মিহির গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা এবং কৃষ্ণ কল্যাণী–সহ আটজন বিজেপি বিধায়ক বিধানসভার কমিটি এবং স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিধায়কদের চেয়ারম্যান পদগুলিতে নিজেদের বিধায়কদের জায়গা করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সূত্রেই এবার বিধানসভার কমিটিতে চেয়ারম্যান পদে জায়গা পেলেন মদন মিত্রও।
শুক্রবার বিধানসভার নতুন আট কমিটিতে চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘স্পিকারের অনুমতি নিয়ে নতুন আটজন চেয়ারম্যানের নাম বেছে নেওয়া হয়েছে। মনোজ টিগ্গার জায়গায় চেয়ারম্যান হলেন মদন মিত্র। মিহির গোস্বামীর জায়গায় সুদীপ্ত রায়কে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। নন্দময় বর্মনের জায়গায় হুমায়ন কবীর। অশোক কীর্তনীয়ার জায়গায় পান্নালাল হালদার। কৃষ্ণ কল্যাণীর জায়গায় আব্দুল খালেক মোল্লা। বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার জায়গায় তপন দাশগুপ্ত। তথ্যপ্রযুক্তিতে দীপক বর্মনের জায়গায় ড অশোক চট্রোপাধ্যায় এবং নিখিলরঞ্জন দে’র জায়গায় রুকবানুর রহমান।’
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ওনাদের অনুরোধ করছি, বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য। পদত্যাগ না করতে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। তারপরেও ওঁরা শোনেননি। আমি আবারও অনুরোধ করব প্রত্যাহারের জন্য। ওঁরা যখন কমিটির সদস্য থাকতে পারেন, তখন চেয়ারম্যান থাকতে কী অসুবিধা, বুঝলাম না। ২৬ জুলাই থেকে কমিটির বৈঠক শুরু হবে।’ বিজেপি পরিষদীয় বিষয়টি যে বোঝে না তা আগেই ধরা পড়েছিল। এবার বিরোধী দলনেতার সিদ্ধান্তের ফলেই বাকি কমিটিগুলির থেকেও পদত্যাগ করতে হয়েছে তাঁদের। সুতরাং রাস্তা পরিষ্কার হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের।
উল্লেখ্য, মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে চেয়ারম্যান করার পর রাজ্য বিধানসভার কোনও কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকবেন না বিজেপি বিধায়করা বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তাঁদের ছেড়ে যাওয়া জায়গাগুলিতে এলেন মদন মিত্র, রুকবানুর রহমানরা। আর এই বিষয়ে শুভেন্দুরা আদালতে যাচ্ছেন। ইস্যুটি নিয়ে মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসা করে হলে তিনি বলেন, ‘যেখানে খুশি যাক না।’