অভিষেকের 'নবজোয়ার' রুখতেই সিবিআইকে কাজে মাঠে নামিয়েছে বিজেপি। এসএসকেএমে যে আহত ব্যক্তিতে ভর্তি করানো নিয়ে বাকবিতণ্ডার সূত্রপাত, সেই আহত ব্যক্তি বর্তমানে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। রবিরার তাঁকে দেখতে যান মদন মিত্র। তারপর বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে যান তিনি। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
শনিবার সাড়ে ন'ঘণ্টা ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সে প্রসঙ্গ তুলে এর আগে মদন বলেন,'সাড়ে ন'ঘণ্টা ধরে সিবিআই হ্যারাস করেছে অভিষেককে। বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করেছে অভিষেক। দলের যোগ্য উত্তরসূরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সময়ে যোগ্য উত্তরসূরী বেছে নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।'
তাপস রায়ের বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় মদন মিত্র বলেন,' কে একটা কুন্তল ঘোষ, তাঁর কথায় অভিষেকের মতো নেতাকে ডাকছে। এই নোংরামি বিজেপি করছে। ও রাস্তায় নেমেছে বলে ওকে ডেকেছে। বিজেপি অভিষেকের জনজোয়ার দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে। সিবিআই কী প্রশ্ন করেছে, অমুক কি গয়না পাচারে ছিল? তমুক কি গরু পাচারে ছিল? অমুক কি কয়লা চুরিতে, বালি চুরিতে ছিল?'
কামারহাটির বিধায়ক আরও বলেন,'অভিষেক কি ট্রাফিক কনস্টেবল না কি? কে কখন গাড়ি নিয়ে কোথায় যাচ্ছে তা দেখা ওর কাজ ? একটা কুন্তল না কে তাঁর কথায় সারা ভারতবর্ষের সবথেকে জনপ্রিয় যুব নেতাকে ডাকছে। আসলে অভিষেক-মমতা জুটিকে বিজেপি ভয় পাচ্ছে।'
এর জবাবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কী কাজ তাও স্পষ্ট করে দেন মদন। তিনি বলেন, 'অভিষেকের কাজ নবপ্লাবন এনে পশ্চিমবঙ্গে প্রমাণ করে দেওয়া সিবিআই, ইডি এজেন্সি লাগাবার পরও বাংলা থেকে ৫টার বেশি সিট বিজেপি লোকসভায় পাবে না। পঞ্চায়েত ভোটে ৯৮ শতাংশ আসন পেয়ে আবার তৃণমূল ফিরবে। ২০২৬-এও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সরকার গড়বে।'
এসএসকেএম রোগী ভর্তি না করায় অভিমানে ও ক্ষোভে শনিবার সকালে দল ছাড়ার কথা সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন মদন মিত্র। রবিবার অবস্থান বদল। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দলের 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড'-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কামারহাটির বিধায়ক।