বারবার তাঁকে দেখা যায় ফেসবুক লাইভে। ওহ লাভলি থেকে শুরু করে রবীন্দ্রসঙ্গীত—পাওয়া যেত তাঁকে। আর তাঁর দেখা মিলবে না। কারণ তিনি ফেসবুক ত্যাগ করলেন। দেবেন না আর কোনও বার্তাও। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কালারফুল নেতা মদন মিত্র। তিনি আর ফেসবুক লাইভে আসবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তা জানিয়ে দিয়েছেন ফেসবুক লাইভ থেকেই। ফলে মদন–ভক্তদের মন খারাপ। এই ফেসবুকে তাঁর অগণিত ভক্ত রয়েছে।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন কামারহাটির বিধায়ক? এই বিষয়ে মদন মিত্র ফেসবুকে বলেন, ‘আমার কাছে নির্দেশ এসেছে, ফেসবুক ছেড়ে দাও। বেশি ফেসবুক করো না। যদি বেশি ফেসবুক করো, তাহলে তোমার ফেস–লুকের যে গ্ল্যামার, সেটা নষ্ট হয়ে যাবে। ৩০ জুন পর্যন্ত ফেসবুক–ইনস্টাগ্রাম খতম।’ তবে কে এই নির্দেশ দিয়েছেন তা তিনি খোলসা করেননি। সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন এই কালারফুল বিধায়ক। তাতে রাজ্য–রাজনীতিতে জলঘোলা হয়েছিল। তার জেরেই এই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গত্যাগ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ধোপদূরস্ত পোশাকে আসা কামারহাটির বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার্স প্রচুর। সেখানে দুম করে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শৃঙ্খলাভঙ্গ করার অভিযোগে কামারহাটির বিধায়ককে সতর্ক করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরও ফেসবুকে লাইভে এসেছিলেন মদন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কোহিনূর’। আজকে তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী হলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু হচ্ছে আমাদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কোনও কটূক্তি করব না। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার বন্ধু। আমার প্রথম জামিনে আলিপুর আদালতে ও কেঁদে ফেলেছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুঃখ পেলে আমি দুঃখিত।’
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? রাত ১২টার পর ফেসবুকে লাইভে মদন মিত্র বলেন, ‘আমি ফেসবুক করি তৃণমূল কংগ্রেসের দয়ায়। আমি মদন মিত্র বলে কেউ দেখে না। বিধায়ক বলেও দেখে না। তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী হিসেবে আমার কথা শোনে। আমি দলের নির্দেশ মেনে চলব। যদি কোনও ঘটনা ঘটে, যদি কোনও আন্দোলন হয়, যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রচার হয়. তাহলে ডিজিটাল টিমকে নির্দেশ দেওয়া আছে, তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে প্রচার করবে।’