বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > রাজভবনকে চিঠি দিল বিধানসভার পরিষদীয় দফতর, নতুন বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে?

রাজভবনকে চিঠি দিল বিধানসভার পরিষদীয় দফতর, নতুন বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে?

বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়

এখন রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে চলছে। তাই তিনি এই দায়িত্ব নিজে নাও নিতে পারেন। এই আবহেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন রাজ্যপাল। মনে করা হচ্ছে, ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্রের শপথগ্রহণের দায়িত্ব স্পিকারের উপরেই ছাড়বেন রাজ্যপাল।

ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। পদ্মফুলের জেতা আসন ছিনিয়ে নিয়েছে ঘাসফুল। নবনির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় এখন শপথগ্রহণের অপেক্ষায়। এই শপথগ্রহণ দ্রুত করাতে এবার রাজভবনকে চিঠি দিল বিধানসভার পরিষদীয় দফতর। গত ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কিন্তু নতুন বিধায়কের শপথগ্রহণ হয়নি। রাজ্যপালের অনুমতি মেলেনি। পরিষদীয় নিয়ম অনুযায়ী, নতুন কোনও বিধায়ককে শপথ নিতে গেলে রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।

এদিকে অপেক্ষা করা হয়েছিল যে রাজভবন উদ্যোগ নেবে বলে। কিন্তু সেখান থেকে তেমন কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এবার পরিষদীয় দফতরের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তবে সে চিঠির উত্তর রাজভবন থেকে এখনও আসেনি। কোনও নির্দেশ পরিষদীয় দফতরে আসেনি বলেই সূত্রের খবর। তবে চলতি সপ্তাহে পরিষদীয় দফতরে শপথগ্রহণের অনুমতি আসতে পারে রাজভবন থেকে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেটা এলেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন। এখন গোটা বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে।

অন্যদিকে রাজ্যপাল চাইলে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। কিন্তু সেটাও কিছু জানানো হয়নি। আবার নিজে না করিয়ে দায়িত্ব দিতে পারেন স্পিকার কিংবা ডেপুটি স্পিকারকে। তবে কোনটা করা হবে?‌ সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে জেতার পর তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজভবনে এসেছিলেন রাজ্যপাল। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় জয়ী হওয়ার পর তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব রাজ্যপাল দেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই দুটির ক্ষেত্রে রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়।

আরও পড়ুন:‌ এবার শিক্ষা বিস্তারে পদক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, মিলবে স্পেনের সাহায্য

তাহলে ঠিক কী হবে?‌ এবার কোনটি হবে তা এখনও রাজভবন থেকে জানা যায়নি। তার উপর এখন রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে চলছে। তাই তিনি এই দায়িত্ব নিজে নাও নিতে পারেন। সেই দায়িত্ব স্পিকারের উপর চাপাতে পারেন। এই আবহেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন রাজ্যপাল। তাই মনে করা হচ্ছে, ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্রের শপথগ্রহণের দায়িত্ব স্পিকারের উপরেই ছাড়বেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটের জয়ী বাইরন বিশ্বাসের শপথও এমন বিলম্বের মুখে পড়েছিল। পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি পেয়ে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন বাইরনকে। যদিও বাইরন বিশ্বাস এখন তৃণমূল কংগ্রেসে।

বন্ধ করুন