প্রকাশ্যে হাসির খোরাক হল সিপিআইএম নেতৃত্ব। তাঁরা যে এখনও টেকস্যাভি হতে পারেননি তার প্রমাণ মিলল। আগামী ১ নভেম্বর রাজ্যে প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। তা নিয়ে চলবে তালিকা সংশোধনের কাজ। এই বিষয়টি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পর যা হল তাতেই হাসির খোরাক হয়েছে সিপিআইএম নেতৃত্ব।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, দুপুর ২টো নাগাদ সর্বদলীয় বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে একে একে রাজনৈতিক নেতারা সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবেন এটাই ঠিক ছিল। প্রায় এক ঘন্টার বৈঠক শেষে নেতাদের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের জন্য তৈরি ছিলেন রাজনৈতিক দলের ফেসবুক পেজের কর্মীরা। সিপিআইএম ফেসবুক পেজের কর্মীরা সেটা করতে গিয়েই ঘটালেন অঘটন!
বঙ্গ–সিপিআইএমের ফেসবুক পেজে লাইভ সম্প্রচার শুরু হয় ৩টে নাগাদ। কিন্তু সিপিআইএমের ফেসবুক লাইভে দেখা গেল রাসবিহারীর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে! তাতেই তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য–রাজনীতিতে। তড়িঘড়ি বন্ধ করা হয় লাইভ সম্প্রচার। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মুখ পুড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সমালোচকরা বলতে শুরু করেছেন, এরাই তো কম্পিউটার ঢুকতে দেয়নি। তাই টেকস্যাভিও হতে পারেনি। ফলে ঘটেছে অঘটন।
কিভাবে এমন অঘটন ঘটল? ঠিক ছিল, বিষয়টি নিয়ে প্রথমে বলবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দেবাশিস কুমার। তার পর বলবে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সব শেষে বামফ্রন্ট। কিন্তু ফেসবুক লাইভের সময় অঘটন ঘটায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যা আর খোলেনি। ফলে সিপিআইএম নেতা রবীন দেব যখন সংবাদমাধ্যমে কথা বললেন তখন সম্প্রচার বন্ধই রইল। সুতরাং তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের বক্তব্য দেখিয়েই তাঁরা ক্ষান্ত হন। যা নিয়ে হাসির খোরাক হয়েছেন তাঁরা। তৈরি হয়ে যায় হাসির মিমও। সেখানে রসিকতা করে বামফ্রন্ট–তৃণমূল কংগ্রেস জোট তৈরি করে দেন নেটিজেনরা।